পাকিস্তান বুধবার ঘোষণা করে, তারা ১৪ লাখের বেশি বৈধ আফগান শরণার্থীর পাকিস্তানে অবস্থানের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের কার্যালয় জানায়, ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বৈঠকে দেশটিতে বৈধভাবে বসবাসরত আফগান শরণার্থীদের জন্য নিবন্ধন কার্ডের প্রমাণ বা পিওআরের বৈধতা ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, গত মাসের ৩০ জুন কার্ডগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
এই কার্ড পাকিস্তানের শরণার্থী পরিবারগুলোকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং ব্যাংকিং সুবিধা নিতে অনুমোদন দেয় এবং তাদের জোরপূর্বক আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো থেকে সুরক্ষা দেয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডি ইসলামাবাদ সফর শেষ করার একদিন পর মন্ত্রীসভার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শরিফ ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে গ্র্যান্ডির বৈঠকে আফগান শরণার্থী সম্প্রদায়ের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়।
ইউএনএইচসিআর বলে, “’অবৈধ বিদেশি প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা (আইএফআরপি)’ স্থগিত করায় গ্র্যান্ডি প্রশংসা করেছেন এবং তিনি এটি স্থগিত রাখার নিশ্চয়তা চেয়েছেন।”
ছয় লাখ আফগান বহিষ্কার
পাকিস্তান গত অক্টোবরে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে এবং বিদেশিদের, বিশেষ করে আফগান যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই বা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের বহিষ্কার করা শুরু করে।
পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী হামলার কারণে এই ক্র্যাকডাউন শুরু হয়েছিল। এরপর থেকে ছয় লাখের বেশি আফগানকে জোরপূর্বক তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
তবে বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসলামাবাদের আইএফআরপি স্থগিতের বিষয়ে ইউএনএইচসিআরের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন।
“এটি সত্য নয়,” মমতাজ বালুচ এক লিখিত বক্তব্যে ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন।
বালুচ জোর দিয়ে বলেন, “হাই কমিশনার ফর রিফিউজিসের সাথে সাম্প্রতিক বৈঠকগুলোসহ কোথাও পাকিস্তান ইউএনএইচসিআরকে এ জাতীয় কোনও ইঙ্গিত দেয়নি।”
আফগানিস্তানের তালিবান সরকার এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো আফগানদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর ইসলামাবাদের পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়ে বলে, এটি শরণার্থী ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।