অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান: একমত ঢাকা-বেইজিং


প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে সহায়তা করতে সংলাপের প্ল্যাটফর্ম প্রদানসহ সর্বোত্তম সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুতদের সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় যে প্রত্যাবাসন, সে বিষয়ে উভয় পক্ষ একমত প্রকাশ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেইজিং সফর শেষে বুধবার (১০ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে এসব বিষয় জানানো হয়েছে।

উভয় পক্ষ সংলাপ ও পরামর্শের মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করার জন্য মিয়ানমারের সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাখাইন রাজ্যে শত্রুতা বন্ধের ওপর জোর দিয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনের প্রশংসা করা হয় এবং রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষদের বিষয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সংলাপের পথ প্রসারে গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত রাখতে চীনের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

চীন বাস্তুচ্যুতদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা ও দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান প্রত্যাবাসন ব্যবস্থা অনুসরণ করে পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে।

বাংলাদেশ কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১৩ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং ২০১৭ সালের ঘটনার পর থেকে একজন রোহিঙ্গাকেও প্রত্যাবাসন করা হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ থেকে ১০ জুলাই চীনে সরকারি সফর করেন।

সফরকালে শেখ হাসিনা দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক এবং চীনা পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে গভীর মতবিনিময় করেছে ও বিস্তৃত ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

XS
SM
MD
LG