বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পিতৃত্বকালীন ছুটির নীতিমালা না থাকা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং নীতিমালা তৈরিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না; তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে দেশটির হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১১জন বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তৌফিক সাজওয়ার পার্থ।
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, নারীর একার পক্ষে একটি শিশু সন্তান সামাল দেয়া সম্ভব হয় না। তাছাড়া, সিজারিয়ান অপারেশন করা নারীর ক্ষেত্রে এ সমস্যা আরো প্রকট।
তিনি আরো বলেন, অপারেশন করার পর, একজন নারী তেমন কোনো কাজ করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে পুরুষকেই বাচ্চার দেখাশোনা করতে হয়। এ কারণে পিতৃত্বকালীন ছুটির প্রয়োজন।
“আদালতে এসব বিষয় তুলে ধরেছি। এছাড়া বলেছি, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাসহ ৭৮টির বেশি দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটি চালু রয়েছে;” বলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। এর আগে, গত ৩ জুলাই ইশরাত হাসান এ রিট করেন।
রিটে বলা হয়, নবজাতকের যত্নে কেবল মায়ের ভূমিকা মুখ্য; এই ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। বাবার ভূমিকাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাহায্য নেয়ার সুযোগ সীমিত। এছাড়া সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার বাংলাদেশে অনেক বেশি। এমন অপাপরেশনের পর সুস্থ হতে মায়ের সময় লাগে। এই সময় নবজাতক ও মায়ের নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়।
রিটে আরো বলা হয়, পিতৃত্বকালীন ছুটির সুযোগ না থাকায়; যারা নতুন বাবা হন, তাদের স্ত্রী ও নবজাতকের দেখাশোনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। প্রতিবেশী দেশ ভারত, ভুটান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের ৭৮টির বেশি দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রয়েছে; বলা হয় রিট আবেদনে।