ইসরায়েলের গাজায় আক্রমণ চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে হামাস নেতাদের সতর্কতা সত্ত্বেও মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনী গাজাতে তাদের অভিযান আরও জোরদার করেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তারা শেজাইয়া এলাকায় লড়াই করছে এবং সেখানে কয়েক ডজন হামাস সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।
এই অভিযান এবং ইসরায়েলের বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার সর্বশেষ আদেশ নিয়ে মঙ্গলবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর।
সংস্থাটি জানিয়েছে, রবিবার বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ থাকার জন্য গাজা সিটির পশ্চিমে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয় আদেশে। বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাবার পরই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ওই করিডোরগুলোতে তাদের হামলা জোরদার করে।
“জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর বার বার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে আইডিএফের আদেশগুলো বিভ্রান্তিকর। কারণ তারা প্রায়ই এমন জায়গায় সরে যাবার নির্দেশ দেয় যেখানে সামরিক অভিযান চলছে। গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা গ্রহণে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি আমরা,” সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলে।
মিশরে শান্তি আলোচনা
মিশরে মধ্যস্থতাকারীরা লড়াই থামানোর জন্য দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সোমবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা মিশরে অবস্থান করছেন।
সোমবার সাংবাদিকদের হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কারবি বলেন, সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়কয দূত ব্রেট ম্যাকগার্ক তাদের মিশর,ইসরায়েল ও জর্ডানের সমকক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য বর্তমানে কায়রোতে রয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইয়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ মানুষ হত্যা এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে ধরে নিয়ে গেলে যুদ্ধের শুরু হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় ৩৮ হাজার ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, ১১৬জন জিম্মি এখনো হামাসের হাতে রয়েছে, যাদের মধ্যে ৪২ জন মারা গেছে বলে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী মনে করে।
হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে।
এই রিপোর্টের কিছু তথ্য দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।