মেরিন লে পেনের কট্টর ডানপন্থীরা আকস্মিক নির্বাচনে জয়ী হতে ব্যর্থ হওয়ায় ফ্রান্সের অনেক মিত্র সোমবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও তারা উল্লেখ করেছেন, ঝুলন্ত পার্লামেন্টের একটি জগাখিচুড়ি জোটও ইউরোপের জন্য মাথাব্যাথার কারণ হতে পারে।
লে পেনের ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রান্সের প্রথম উগ্র ডানপন্থী সরকার গঠনের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছিল। এটি ইউরো অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক নীতিকে বিপর্যস্ত করার জন্য হুমকিস্বরূপ।
বিশেষত ইউক্রেনে মিত্ররা আশঙ্কা করেছিলেন, লে পেনের নেতৃত্বাধীন সরকার মস্কোর প্রতি নমনীয় হতে পারে এবং ২০২২ সালে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে কিয়েভ যে সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভর করেছিল তা ফিরিয়ে নিতে পারে। তবে লে পেনের দল পরে বলেছে, রাশিয়া একটি হুমকিস্বরূপ।
ন্যাশনাল র্যালির পরাজয় ইউরোপে উগ্র ডানপন্থী উত্থানের বিরুদ্ধে অন্তত সাময়িক একটি ধাক্কার ইঙ্গিত দেয়। তবে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর সাথে অস্বস্তিকর “সহাবস্থানে” নতুন একটি সরকার গঠনের ফলে অস্থিতিশীলতার সূচনা হতে পারে।
ম্যাক্রোর বাজি
ম্যাক্রো লে পেনের কাছ থেকে এই উদ্যোগ ফিরিয়ে আনার প্রয়াসে আকস্মিক নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন। তবে তার নিজের দল বামপন্থী দলগুলোর একটি জোটের চেয়ে পিছিয়ে ছিল। জোটটি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভালো করে।
বিভক্ত পার্লামেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে ফ্রান্সের ভূমিকাকে দুর্বল করবে এবং কারো পক্ষে অভ্যন্তরীণ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা কঠিন করে তুলবে।
গভীর বিভাজন
নির্বাচনের ফলে ফরাসি পার্লামেন্ট বাম, মধ্যপন্থী এবং অতি ডান- তিনটি বড় গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যায় যাদের একসাথে কাজ করার কোনো নজির নেই।
বামপন্থীরা জ্বালানি ও খাদ্যের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দাম বেঁধে দিতে চায়, ন্যূনতম মজুরি এবং সরকারি খাতের কর্মীদের বেতন বাড়াতে চায়। এগুলো তারা এমন এক সময় করতে চাচ্ছে যখন ফ্রান্সের বাজেট ঘাটতি ইতোমধ্যে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ, যা ইইউ নিয়মানুযায়ী বরাদ্দকৃত অনুমোদনের চেয়ে বেশি।