ইউক্রেনের রাজধানীতে একটি শিশু হাসপাতালে সোমবার একটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এছাড়া ইউক্রেন জুড়ে রাশিয়া বিমান হামলা চালিয়েছে। হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেন, উদ্ধারকারীরা কিয়েভের ওহম্যাডিট শিশু হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপ খনন করছে। হতাহতের সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
জেলেন্সকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ বলেন, “রাশিয়া তার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোথায় নিক্ষেপ করছে সে সম্পর্কে জানে না এমন দাবি করতে পারে না। তাদেরকে সমস্ত অপরাধের জন্য সম্পূর্ণরূপে জবাবদিহি করতে হবে। মানুষের বিরুদ্ধে, শিশুদের বিরুদ্ধে, সমগ্র মানবতার বিরুদ্ধে তাদের কৃত অপরাধের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।” তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্ব এখন এ সম্পর্কে নীরব থাকবে না। সবাই দেখছে রাশিয়া কী এবং তারা কী করছে।”
কিয়েভের নগর সামরিক প্রশাসন জানায়, রাশিয়ার হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে, একাধিক জেলায় ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্রাইভি রিহের সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেকসান্দার ভিলকুল জানান, জেলেন্সকির নিজ শহর ক্রাইভি রিহতেও রাশিয়ার হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত ও ৩১ জন আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের ডনেটস্ক অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র একটি শিল্প কারখানায় আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে।
জেলেন্সকি বলেন, “রুশ সন্ত্রাসীরা আবারও ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর- কিয়েভ, ডিনিপ্রো, ক্রাইভি রিহ, স্লোভিয়ানস্ক, ক্রামাতোরস্কে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে।”
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সোমবার বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সরাসরি আলোচনার পরিবেশ তৈরিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাজ করা উচিত।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সফরকালে শি এ মন্তব্য করেন।
মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে একই ধরনের বৈঠকের কয়েকদিন পর অরবান চীন সফর করলেন। ইউক্রেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওই বৈঠকের সমালোচনা করেছিল।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।