যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, লেবার পার্টির নেতা স্যার কেয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক চিঠিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন জানান। লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন, যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ চিঠি পৌঁছে দেয়।
চিঠিতে শেখ হাসিনা বলেছেন, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, জলবায়ু ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরো জোরদার করতে, স্টারমারের যোগ্য নেতৃত্বে লেবার পার্টির নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে তার সরকার।
শেখ হাসিনা চিঠিতে বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ৭ লাখের বেশি প্রাণবন্ত ও উদ্যোগী বাংলাদেশি-ব্রিটিশ প্রবাসীর অমূল্য অবদান আমাদের দুই দেশের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ লাগাতে হবে।”
যুক্তরাজ্যে ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্টারমারের দলের বিজয়কে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব গ্রহণ করায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, 'দেশকে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে এবং বিশ্বব্যাপী শান্তির প্রচারে আপনার নেতৃত্বের প্রতি ব্রিটিশ জনগণের বিশ্বাস ও বিশ্বাসের স্পষ্ট প্রমাণ এই জয়।’
১৯৭১ সালে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে লেবার পার্টি ও দলের স্যার হ্যারল্ড উইলসন, টমাস উইলিয়ামস কেসি ও লর্ড পিটার শোরের মতো শ্রেষ্ঠ নেতাদের স্থায়ী বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রগতিশীল আকাঙ্ক্ষার সাধারণ মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক।”
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, “আমি আপনার সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সাফল্য কামনা করছি এবং যুক্তরাজ্যের বন্ধুপ্রতীম জনগণের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।”