অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

‘রোহিঙ্গা নাগরিকদের টেকসই প্রত্যাবাসন এই সমস্যার একমাত্র সমাধান’; পররাষ্ট্র সচিব মোমেন


কক্সবাজারে টাস্কফোর্সের ৪৫তম সভায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ও এ বিষয়ক জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সভাপতি মাসুদ বিন মোমন। ৪ জুলাই, ২০২৪।
কক্সবাজারে টাস্কফোর্সের ৪৫তম সভায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ও এ বিষয়ক জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সভাপতি মাসুদ বিন মোমন। ৪ জুলাই, ২০২৪।

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) স্বদেশে টেকসই প্রত্যাবাসন এই সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ও এ বিষয়ক জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সভাপতি মাসুদ বিন মোমন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কক্সবাজারে টাস্কফোর্সের ৪৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মাসুদ বিন মোমেন এ কথা বলেন।

সভায়, জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সদস্য বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায়, কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থানরত, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাচনা হয়। এগুলোর মধ্যে ছিলো; কক্সবাজার ও ভাসানচর ক্যাম্পের সমস্যা, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের ৭০ কোটি ডলারের অর্থায়ন।

টাস্ক ফোর্স সভার সভাপতি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব সভায় উল্লেখ করেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসন, এই সমস্যার একমাত্র সমাধান। এছাড়া, এলপিজি, খাদ্য, চিকিৎসা, পরিবার পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন সেক্টরে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে অধিকতর ও কার্যকর ভূমিকা পালন করার আহবান জানানো হয় সভায়।

রাখাইনে প্রত্যাবাসন-সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহবানন জানানো হয়। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের চলমান কর্মসূচি সম্পর্কে সংস্থাটির প্রতিনিধিরা সভায় অবহিত করেন।

জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখতে, প্রয়োজনীয় তহবিলের ব্যবস্থা করার জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানান প্রতিনিধিরা।

উল্লেখ্য, ৪৫তম জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সভায় যোগদানের আগে, পররাষ্ট্র সচিব মোমেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করেন। তিনি সেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি, দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মকান্ড ও প্রত্যাবাসন কেন্দ্র ইত্যাদি পরিদর্শন করেন।

XS
SM
MD
LG