অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের টাকা ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ফেরতের নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের


মালয়েশিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।৪ জুলাই, ২০২৪।
মালয়েশিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।৪ জুলাই, ২০২৪।

বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের টাকা ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ফেরত দিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর প্রতি নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মালয়েশিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

তিনি বলেন, “গতকাল (বুধবার) আমরা বায়রার (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি) সঙ্গে বসেছিলাম। তারা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। যেসব কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তারা (বায়রা) ১৫ দিন সময় চেয়েছে। আমরা বলেছি, ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে। এ সময়ের মধ্যে যারা টাকা দিতে পারবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শফিকুর রহমান বলেন, “১৫ দিন দেখি, কতজনের টাকা উদ্ধার হয়। উদ্ধার না হলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমাদের উদ্দেশ্য, যারা যেতে পারেননি তারা যেন টাকাটা ফেরত পান। কতজন যেতে পারেনি সেটা বড় কথা নয়, এখন টাকা ফেরত পাওয়াটা বড় বিষয়। বায়রা ও রিক্রুটিং এজেন্সি বুঝতে পারছে তারা এবার ছাড় পাবে না।”

তিনি বলেন, “তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠায়। তাদের কারও ১০ জন, কারও ৫০ জন, কারও ৫০০ জন, কারও ৪০০ জন কর্মী যেতে পারেননি। প্রায় ২ হাজার ২৫ জন অভিযোগ করেছেন। ১৭ হাজার ৭৭৭ হাজার জন কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। ৫ লাখ ৩২ হাজার ১৬২ কোটার মধ্যে ৪ লাখ ৭৬ হাজার চলে গেছে। এর মধ্যে ৪ লাখ ৯৩ জন বিএমইটির ছাড়পত্র পেয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এগুলো নিয়ে বায়রার সঙ্গে বসেছি, তারা টাকা নিল কিন্তু পাঠাতে পারল না। এই টাকার কী হবে তাদের কাছে জানতে চেয়েছি। তারা সবাই সম্মত হয়েছে যে, প্রমাণ সাপেক্ষে যার কাছ থেকে যত টাকা নেওয়া হয়েছে সেটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে। এই একটি ধাপে আমরা মোটামুটি এগিয়েছি।”

XS
SM
MD
LG