অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিএনপি নেতা রিজভী: দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান ‘জাতীয় তামাশা’


নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ৩ জুলাই, ২০২৪।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ৩ জুলাই, ২০২৪।

বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থান ‘জাতীয় তামাশা’ ছাড়া আর কিছুই নয়।

বুধবার (৩ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, “ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীন হওয়ায় ক্ষমতার স্তর নির্বিশেষে ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিচারের ক্ষেত্রে কমিশন নিজস্ব পদ্ধতি অনুসরণ করবে।”

তিনি প্রশ্ন করেন দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিরা কীভাবে সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে থাকলেন। প্রধানমন্ত্রী কি এর কোনো উত্তর দিতে পারবেন?

রিজভী বলেন, সরকার নিষ্ক্রিয় থাকায় জনগণ দীর্ঘদিন ধরে একের পর এক দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচারের নানা ঘটনা প্রত্যক্ষ করছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “কমিশন রিপ ভ্যান উইঙ্কলের মতো ঘুমিয়ে পড়েছে। যারা একতরফাভাবে জনগণের টাকা আত্মসাৎ ও লুটপাট করেছে তাদের ক্ষমা করে দিয়েছে ডামি আওয়ামী সরকার। দুর্নীতিতে কলঙ্কিত, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী সরকারের অবস্থান জাতীয় তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।”

তিনি বলেন, “তথাকথিত স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন মেরুদণ্ডহীন বলেই শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিরোধী দলগুলোকে দমন করাই আওয়ামী দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কাজ।”

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, “দুদক গত ১৫ থেকে ১৬ বছরে সরকারের অনিয়ম ও ব্যাপক দুর্নীতি ধামাচাপা দিয়েছে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগের দুদক সঠিকভাবে তদন্ত করবে বলে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না।”

তিনি বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নির্মমভাবে দমন করার পুরস্কার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদে দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি ও সরকারের সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিপুল সম্পদ অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “আন্দোলন দমনে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ তারা বিলাসবহুল বাড়ি, অসংখ্য ফ্ল্যাট ও শত শত একর জমি কিনেছেন।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ: দুর্নীতি নিয়ে বিএনপির বক্তৃতাই বড় কৌতুক

এদিকে দুর্নীতি নিয়ে বিএনপির বক্তৃতাই সবচেয়ে বড় কৌতুক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ৩ জুলাই, ২০২৪।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ৩ জুলাই, ২০২৪।

সৌদি আরব সফর শেষে বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে দেশে ফিরে বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস একাডেমি জার্নাল প্রকাশনা ও ডিজিটাল লাইব্রেরি উদ্বোধন শেষে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান নিয়ে বিএনপির মন্তব্য বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উভয়েই দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। বিএনপির শাসনামলে দেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সুতরাং তাদের মুখে দুর্নীতি নিয়ে বক্তৃতা বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান নিয়ে কথা বলা -এটিই সবচেয়ে বড় কৌতুক।”

XS
SM
MD
LG