বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো প্লাস্টিনেশন ল্যাবরেটরি ও অ্যানাটমি মিউজিয়াম কমপ্লেক্স। রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগের অধীনে এই ল্যাবরেটরি ও কমপ্লেক্স চালু করা হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক ল্যাবরেটরি ও কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দক্ষ চিকিৎসক হতে অ্যানাটমির ওপর পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আর প্লাস্টিনেশন পদ্ধতি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতির ওপর একটি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করা সম্ভব হলে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। মেডিকেল শিক্ষা ও গবেষণা আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালুর উদ্যোগ নেবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ–উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, অ্যানাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আঞ্জুমান বানু, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীমসহ বিভাগের শিক্ষকেরা।
উল্লেখ্য, প্রচলিত পদ্ধতিতে মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফরমালিনে রেখে সংরক্ষণ করা হয় এবং সেখান থেকে পরে শিক্ষা ও গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু প্লাস্টিনেশন পদ্ধতি প্রচলিত পদ্ধতির থেকে একটু আলাদা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণ করা হয়। প্লাস্টিনেশন পদ্ধতিতে ফরমালিন ছাড়াও এখানে এসিটোন ও সিলিকন ব্যবহার করা হয়, যার ফলে মূল অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অথবা অর্গানের বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। প্লাস্টিনেশন পদ্ধতিতে তৈরি দেহের অর্গানগুলোতে কোনো গন্ধ তৈরি হয় না যার ফলে শিক্ষার্থীরা হাতে নিয়ে সহজেই গবেষণা করতে পারেন।