বাণিজ্য সংযোগ ও জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে এক সঙ্গে কাজ করছে ভারত ও বাংলাদেশ। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার(২৮ জুন) নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, “আমরা দুই দেশের মধ্যে উচ্চতর পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করছি।”
যোগাযোগকে ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল, উভয় ক্ষেত্রেই উচ্চতর স্তরে নিতে একসঙ্গে কাজ চলছে বলে জানান তিনি। আরো বলেন, দুই দেশ যাতে তাদের বাণিজ্য সংযোগ, দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ এবং আরো কিছু প্রকল্প একসঙ্গে জোরদার করতে পারে; একই সঙ্গে সম্পর্ককে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, সে লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
রেল যোগাযোগ সম্পর্কে একজন সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশের জন্য কোনো ধরনের ফি বা কিছু আর্থিক সুবিধা থাকবে কি না এবং ট্রেন যখন বাংলাদেশের অঞ্চল দিয়ে যাবে, তখন কোনো আধাসামরিক বা সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না।
জবাবে ভারতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, “ফি এবং নিরাপত্তার দিক নিয়ে আপনার প্রশ্নগুলো খুবই টেকনিক্যাল প্রশ্ন। টেকনিক্যাল কমিটি ও দুই সরকারের মধ্যে আলোচনার জন্য যখনই এগুলো আসবে, তখনই এগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।”
গত ২১ ও ২২ জুন নয়াদিল্লি সফর করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেলওয়ে যোগাযোগের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
শেখ হাসিনার সফর শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বিনয় কোয়াত্রা বলেছিলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভৌগলিক সম্পর্ক-কে নতুন অর্থনৈতিক সুযোগে রূপান্তরিত করতে পারে। শুধু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নয়, পুরো অঞ্চলের জন্যই এটা হতে পারে।”
বিনয় কোয়াত্রা জানিয়েছিলেন যে এ লক্ষ্যে রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে একটি নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস চালু করা হচ্ছে এবং আগামী মাসের মধ্যে গেদে-দর্শনা থেকে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি আন্তঃসীমান্ত ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়েতে একটি মালবাহী ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব তখন বলেছিলেন, “এটি ভুটানের সঙ্গে উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।” কোয়াত্রা জানান, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ছয়টি আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ রয়েছে। এই রেল যোগাযোগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তারা বাংলাদেশের ভূখণ্ড দিয়ে ভারতের বিভিন্ন অংশের মধ্যে ট্রানজিট দেয়। সেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে নতুন আলোচনা হয়েছে।