কেনিয়ায় কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভের অংশ হিসেবে বিক্ষোভকারীরা দেশটির পার্লামেন্টে হামলা চালানোর একদিন পর বুধবার দেশটির রাজধানীর রাস্তায় সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার নাইরোবিতে বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনের একটি অংশ পুড়িয়ে দিলে কমপক্ষে ছয়জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়।পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি চালায়।
মঙ্গলবার রাতে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বিক্ষোভকারীদের কর্মকাণ্ডকে রাষ্ট্রদ্রোহী এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
রুটো বলেন, “শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারী হওয়ার ভান করা অপরাধীরা জনগণ, তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং আমাদের সংবিধানের অধীনে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে আবার তারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার আশা করতে পারে- এটা হতে পারে না।”
কর বৃদ্ধির নতুন এক পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হাজার হাজার কেনীয় দেশটির বিভিন্ন শহরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তবে রাজধানী নাইরোবিতে তারা পুলিশকে পাশ কাটিয়ে পার্লামেন্টে ঢুকে আইনপ্রণেতাদের প্রস্তাবিত কর বৃদ্ধি প্রত্যাখ্যানের দাবি জানায়।
বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, “প্রত্যেক রাজনীতিককে জবাব দেয়া হবে।”
আইনপ্রণেতারা ভবনটি থেকে নিরাপদে বের হয়ে আসেন এবং পরে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক মঙ্গলবার বলেন, কেনিয়ার বিক্ষোভে জনতার হতাহত হওয়ার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’ এবং ‘দুঃখিত’। দুজারিক বলেন, মহাসচিব নিরাপত্তা বাহিনীকে ‘সংযম প্রদর্শন’ এবং ‘বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
১৩ জন পশ্চিমা রাষ্ট্রদূতের যৌথ এক বিবৃতিতে বিক্ষোভে আহত ও প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সকল পক্ষকে সংযত হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “আমরা নাইরোবির পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি”। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে এবং যেকোনো ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছে।
ভয়েস অফ আমেরিকার মারিয়ামা ডায়ালো এবং জেফ সেল্ডিন এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন। এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।