রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রজাতন্ত্র দাগেস্তানে সশস্ত্র জঙ্গিরা রবিবার (২৩ জুন) দুটি অর্থোডক্স খ্রিস্টিয়ান গির্জা, একটি ইহুদী উপাসনালয় বা সিনাগগ এবং ট্রাফিক পুলিসের একটি পোস্ট আক্রমণ করে একজন ধর্মযাজক আর ছয়জন পুলিস সদস্যকে হত্যা করেছে।
রাশিয়ার সন্ত্রাস-বিরোধী জাতীয় কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চ এর একজন ধর্মযাজক এবং পুলিস অফিসাররা ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় নিহত হয়।
দাগেস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, ক্যাস্পিয়ান সাগরের তীরে দেরবেন্ত শহরে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি গির্জা এবং সিনাগগ লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। আক্রমণকারীরা পালিয়ে যায় এবং তাদের ধরার জন্য তল্লাশি চলছে বলে মন্ত্রানালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, দুজন জঙ্গিকে “নির্মূল” করা হয়েছে।
প্রায় একই সময়ে, মুসলিম-অধ্যুষিত মাহাচকালা অঞ্চলের রাজধানীর একটি ট্রাফিক পুলিস পোস্টে আক্রমণের খবর আসতে থাকে। আরআইএ নভোস্তির তথ্য অনুযায়ী, ছয়জন পুলিশ সদস্য নিহত এবং আরও ১২ জন আহত হয়।
ইউক্রেনকে দোষারোপ
দাগেস্তানের পাবলিক মনিটরিং কমিশনের উপ-চেয়ারম্যান শামিল খাদুলায়েভকে উদ্ধৃত করে আরআইএ নভোস্তি জানায়, দেরবেন্তে একজন ধর্মযাজক এবং মাহাচকালায় গির্জার এক নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছে।
এই আক্রমণের জন্য কেউ এখনো দায়িত্ব দাবী করে নি, তবে দাগেস্তানে কিছু কর্মকর্তা ইউক্রেন এবং নেটোকে দোষারোপ করেছে।
“এখানে কোন সন্দেহ নেই যে, এই সন্ত্রাসী আক্রমণগুলো কোনও না কোনও ভাবে ইউক্রেন এবং নেটো দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সম্পৃক্ত,” দাগেস্তানের এক সংসদ সদস্য আব্দুলহাকিম গাদযিয়েভ সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে লেখেন।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা আক্রমণের পর কোন মন্তব্য করে নি।
“যা ঘটেছে, তা দেখে একটি উস্কানি মনে হয়, এবং বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার একটি জঘন্য প্রচেষ্টা,” দাগেস্তানের প্রতিবেশি চেচনিয়ার প্রেসিডেন্ট রামজান কাদিরভ বলেন।