কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার লোহিত সাগরে একটি জাহাজের উপর আকাশপথে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নৌচলাচলের গুরুত্বপূর্ণ এই পথকে লক্ষ্য করে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের চালানো সর্বশেষ হামলার ঘটনা এটি।
এই আক্রমণ এমন সময় এলো যখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের রণতরী ইউএসএস ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ারকে আট মাসের অভিযান শেষে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। এ সময়টিতে এই জাহাজটি হুথিদের হামলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যুত্তর দেওয়ার কাজে নেতৃত্ব দেয়।
এসব হামলার কারণে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বাজারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রুটে নৌচলাচল উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। হুথিদের ভাষ্য, যতদিন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ চলতে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত তারা এসব হামলা চালিয়ে যাবে।
ড্রোন হামলাটি সূর্যোদয়ের সময়ে বিদ্রোহীদের অধিকৃত বন্দরনগরী হোবেইদার উপকূলে ঘটে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন্স সেন্টার।
তারা জানায়, হামলায় জাহাজের ক্ষতি হলেও নাবিকরা “নিরাপদ আছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।” ক্ষতির মাত্রা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না জানলেও সংস্থাটি জানায়, এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
প্রাইভেট নিরাপত্তা সংস্থা আমব্রে জানিয়েছে, হামলার শিকার জাহাজটি লাইবেরিয়ার পতাকা বহনকারী একটি মালবাহী জাহাজ। এটি চীনের চিংদাও’র উদ্দেশে রওনা হয়েছিল।
হুথিরা সুনির্দিষ্ট জাহাজকে লক্ষ্য করে ৬০টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে এবং এসব হামলায় তারা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করেছে। তাদের এই অভিযানে মোট চার নাবিক নিহত হয়েছেন।
নভেম্বর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তারা একটি জাহাজ দখল এবং অপর দুই জাহাজ ডুবিয়েছে। জানুয়ারি থেকে হুথিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিমান হামলা পরিচালিত হচ্ছে। হুথিরা বলছে, ৩০ মে বেশ কয়েক দফা হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত ও ৪২ জন আহত হয়।
হুথিরা জানিয়েছে, তারা ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জাহাজে হামলা চালায়। তবে তারা এমন অনেক জাহাজে হামলা চালিয়েছে, যার সঙ্গে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই। এর মধ্যে হুথিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ইরানের উদ্দেশে যাত্রারত জাহাজও রয়েছে।