অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সমকামিতা বিরোধী আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করলো নামিবিয়ার আদালত


এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীর সপক্ষে নজিরবিহীন রায় দেওয়ার পর উচ্চ আদালতের বাইরে এই গোষ্ঠীর সমর্থনে ব্যানার হাতে বিপুল মানুষ। উইন্ডহোক, নামিবিয়া। ফটোঃ ২১ জুন, ২০২৪।
এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীর সপক্ষে নজিরবিহীন রায় দেওয়ার পর উচ্চ আদালতের বাইরে এই গোষ্ঠীর সমর্থনে ব্যানার হাতে বিপুল মানুষ। উইন্ডহোক, নামিবিয়া। ফটোঃ ২১ জুন, ২০২৪।

নামিবিয়ার এক উচ্চ আদালত শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে পুরুষদের সমকামিতা নিষিদ্ধকারী ঔপনিবেশিক যুগের আইন অসাংবিধানিক। দক্ষিণ আফ্রিকার দেশটিতে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের কাছে এই রায় এক নজিরবিহীন জয়।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেসরকারি সংগঠন হিউম্যান ডিগনিটি ট্রাস্টের সহায়তায় এই মামলা দায়ের করেছিলেন নামিবিয়ার সক্রিয় সমাজকর্মী ফ্রিদেল দাউসাব।

আদালতের সিদ্ধান্তের পর দাউসাব রয়টার্সকে বলেন, তিনি “খুশি। নামিবিয়ার জন্য এটা একটা দারুণ দিন। কাউকে ভালবাসা আর অপরাধ বলে গণ্য হবে না।”

অধিকার প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বলছেন, “পায়ুকাম” ও “অপ্রাকৃতিক যৌনতাজনিত অপরাধ” বিষয়ক আইনে সাজার হার তুলনামূলকভাবে বিরল হওয়া সত্ত্বেও তারা এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণকে স্থায়ী রূপ দিয়েছে এবং সমকামী পুরুষদের গ্রেফতারির ভয়ে জীবন কাটাতে বাধ্য করেছে।

১৯৯০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে নামিবিয়া যখন স্বাধীনতা অর্জন করে, সেই সময় তারা এই আইন উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল। যদিও পুরুষদের মধ্যে সমকামি ক্রিয়াকলাপ প্রাথমিকভাবে অপরাধ বলে গণ্য হত ঔপনিবেশিক শাসনে।

দক্ষিণ আফ্রিকা তারপর থেকে সমকামি কার্যকলাপকে অপরাধের আওতা বহির্ভুত করেছে এবং আফ্রিকা মহাদেশে এটাই একমাত্র দেশ যারা এলজিবিটিকিউ দম্পতিকে সন্তান দত্তক নেওয়া, বিবাহ করা এবং সামাজিক সংগঠনে যোগ দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

পশ্চিমা দেশগুলির ব্যাপক নিন্দা সত্ত্বেও গত বছর উগান্ডা বিশ্বের অন্যতম কঠোর এলজিবিটিকিউ-বিরোধী আইন আরোপ করেছে। এই আইনে “সমলিঙ্গ যৌনতা”র জন্য মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত উল্লেখ আছে।

XS
SM
MD
LG