অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা “যুদ্ধের নিয়ম”লঙ্ঘনঃ জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর


গাজা ভূখন্ডের দক্ষিণাঞ্চলে রাফায় ইসরাইলি বোমা হামলার সময় ফিলিস্তিনিরা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে দ্রুত পালাচ্ছেন। জুন ১৯,২০২৪।
গাজা ভূখন্ডের দক্ষিণাঞ্চলে রাফায় ইসরাইলি বোমা হামলার সময় ফিলিস্তিনিরা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে দ্রুত পালাচ্ছেন। জুন ১৯,২০২৪।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর বলেছে, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা “ সম্ভবত যুদ্ধের আইনের মৌলিক নীতি বারবারই লঙ্ঘন করেছে।“

গাজায় যুদ্ধ শুরুর প্রথম সপ্তাহগুলিতে , গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী পরিচালিত ছয়টি বিমান হামলা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বিমান হামলায় ২০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। আবাসিক ভবন, একটি স্কুল, একটি বাজার এবং শরণার্থী শিবিরগুলিও বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, গাজায় বোমা হামলার সময় হামাস যোদ্ধা ও ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে “কার্যত পার্থক্য” করার কোনো চেষ্টাই ইসরায়েলের ছিল না বলে মনে করছেন না তিনি।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে “বেসামরিক জীবন ও অবকাঠামো সুরক্ষিত। এই আইন সশস্ত্র সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষাকে নিশ্চিতভাবেই অগ্রাধিকার দেয়।“

প্রতিবেদনে, মোট ছয়টি হামলায় ১১৩ থেকে ৯০৭ কিলোগ্রাম ওজনের ভারী বোমা ব্যবহার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ইসরাইলের দিকে অব্যাহত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা “আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তাদের দায়িত্বের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি স্থল ও বিমান হামলায় ৩৪ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি এবং রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG