অভিজ্ঞ অল-রাউন্ডার সাকিব আল-হাসান অর্ধশতক হাঁকানোর পর বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডসকে ২৫ রানে হারিয়ে টি২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
বাংলাদেশ তাদের ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তোলে, যার মধ্যে ছিল ৩৭-বছর বয়স্ক প্রাক্তন অধিনায়ক সাকিবের টি২০ ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফ সেঞ্চুরি।
ইনিংস শেষে সাকিব ৪৬ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন। সেন্ট ভিন্সেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডিন্স-এর কিংস্টাউনের আরনস ভেল মাঠে ১০ বছর পর অনুষ্ঠিত প্রথম এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে সাকিবের ইনিংসে ছিল নয়টি চারের মার।
জবাবে, ডাচরা ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করে।
এই জয়ের সুবাদে টাইগাররা তিনটি ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট সংগ্রহ করে গ্রুপ ডি’র দ্বিতীয় স্থান দখল করে। এর ফলে নাজমুল হোসেন শান্তর টিম সুপার ৮ পর্বে উত্তীর্ণ হবার জন্য সুবিধাজনক অবস্থানে চলে আসলো।
তাদের গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় পর্বের জন্য কোয়ালিফাই করেছে।
বাংলাদেশের উদ্বোধনী ব্যাটার তানজিদ হাসানও রানের দেখা পায়। নেদারল্যান্ডস টসে জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানানোর পর তানজিদ হাসান ২৬ বলে ৩৫ রান হাঁকান, যার মধ্যে ছিল পাঁচটি চার আর একটি ছয়।
শ্রী লঙ্কার বিরুদ্ধে দুই উইকেটে জয়ের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ তাদের বিশ্বকাপ শুরু করে। তবে পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে পায় বেদনাদায়ক চার রানের হার।
ডাচরাও হাতে দুই পয়েন্ট নিয়ে বৃহস্পতিবারের খেলায় নেমেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে চার উইকেটে হারার আগে তারা নেপালকে ছয় উইকেটে পরাজিত করে।
অফ-স্পিনার আরিয়ান দত্তকে নেদারল্যান্ডস টিমে নিয়ে আসা হয় তেজা নিদামানুরু’র জায়গায়। দত্ত দলের আস্থার ঋণ পরিশোধ করেন বাংলাদেশের দুটি উইকেট দখল করে।
দত্ত অধিনায়ক শান্ত এবং লিটন দাসকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠালে বাংলাদেশের ইনিংস ২৩ রানের মাথায় দুই উইকেট হারিয়ে বেশ নড়বরে অবস্থায় চলে যায়। শান্ত এবং দাস দুজনেই মাত্র ১ রান করে আউট হন।
সাকিব আর তানজিদ তৃতীয় উইকেটে ৪৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
মাহমুদউল্লাহ'র পঁচিশ
ইনিংসের শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ ২১ বলে ২৫টি মূল্যবান রান যোগ করেন যার মধ্যে দুটি চার এবং দুটি ছয় ছিল। বাংলাদেশ শেষ পাঁচ ওভারে ৫৪ রান সংগ্রহ করে।
ডাচরা এক পর্যায়ে তিন উইকেট হারিয়ে ১১ রান করে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল। মাইকেল লেভিট (১৮), ম্যাক্স ও’ডাওড (১২) এবং ভিক্রম সিং (২৬) দলের রান সংগ্রহে অবদান রাখেন।
সিং-এর ২৬ রান আসে ১৬ বলে, যার মধ্যে তিনটি ছয় ছিল।
তবে, সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট-এর মারমুখী ২২ বলে ৩৩ রানের ইনিংস যখন শেষ হয়, তখন থেকে ডাচদের আশা ম্লান হয়ে যায়।
বাস ডি লিডে (০), ক্যাপ্টেন স্কট এডওয়ার্ডস (২৫) এবং লোগান ভ্যান বিক (২) রান রেট বাড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের সবার উইকেটের পতন হয় ছয় রানের ব্যবধানে।
বাংলাদেশের সব চেয়ে সফল বোলার ছিলেন লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেন, যিনি তাঁর চার ওভারে ৩৩ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট দখল করেন।
বাংলাদেশ রবিবার (১৬ জুন) তাদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে। নেপালও সুপার ৮ পর্বে যাবার আশা রাখছে, যদি তারা টাইগারদের এবং শ্রী লঙ্কাকে হারাতে পারে।
এ’পর্যন্ত চারটি টিম সুপার ৮-এ তাদের স্থান দখল করেছে – দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং অস্ট্রেলিয়া।