শিশুদের ক্ষতি করে যারা এমন অপরাধীদের বার্ষিক কালো তালিকায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এবং হামাসকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে পাঠানো ওই প্রতিবেদন যা এখনও প্রকাশিত হয়নি তাতে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “গাজা ভূখণ্ড, ইসরায়েল এবং পূর্ব জেরুজালেমসহ অধিকৃত পশ্চিম তীরে শিশুদের ওপর গুরুতর লঙ্ঘনের নাটকীয় বৃদ্ধি ও নজিরবিহীন মাত্রা ও তীব্রতায় আমি মর্মাহত।”
বার্ষিক শিশু ও সশস্ত্র সংঘাতের প্রতিবেদনে যারা শিশুদের শ্রমে ব্যবহার করে, শিশু হত্যা, পঙ্গু বা অপহরণ করে, তাদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা চালায়, তাদের মানবিক সহায়তা অস্বীকার করে কিংবা স্কুল ও হাসপাতালে আক্রমণ করে তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয় এবং এর মাধ্যমে তাদের রীতিমতো অপমান করা হয়। গুতেরেসের বিশেষ প্রতিনিধি ভার্জিনিয়া গাম্বাকে এসব লঙ্ঘনের প্রতিরোধ ও অবসানে কাজ করার দায়িত্ব দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ।
ভয়েস অফ আমেরিকার হাতে আসা ওই প্রতিবেদনে জাতিসংঘ জানায়, তারা ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি শিশুদের বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৯টি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যাচাই করেছে। এর মধ্যে ১১৩টি ছিল ইসরায়েলি শিশুদের বিরুদ্ধে, বাকিরা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি শিশুদের বিরুদ্ধে। কিন্তু চলমান এই প্রক্রিয়া সংঘাতের কারণে ধীরগতিতে চলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ অক্টোবর থেকে গত বছরের শেষ পর্যন্ত ‘জনবহুল এলাকায় ইসরায়েলি সশস্ত্র ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিস্ফোরক অস্ত্র ব্যবহারের কারণে’ গাজায় বেশিরভাগ শিশু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
হামাস ছাড়াও প্যালেস্টাইনের ইসলামিক জিহাদকেও কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই দুই গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো শিশু হত্যা, পঙ্গু করে দেওয়া ও অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বছর ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী কালো তালিকাভুক্ত হয়। এ বছর তাদের বিরুদ্ধে আরোপিত লঙ্ঘনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেলেও তারা এই তালিকাভুক্ত রয়েছে। জাতিসংঘ রুশ বাহিনী ও তাদের সহযোগী গোষ্ঠীগুলো দ্বারা ৮০ জন শিশু নিহত এবং ৩৩৯ জনের পঙ্গু হওয়ার বিষয়টি যাচাই করে নিশ্চিত করেছে।