অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গাজার কেন্দ্রস্থলে জাতিসংঘের স্কুলে ইসরায়েলের বিমান হামলা


ফিলিস্তিনিরা গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয় দেয়া আনরা স্কুলে ইসরায়েলের হামলার স্থান পরিদর্শন করেছে। ৬ জুন, ২০২৪।
ফিলিস্তিনিরা গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয় দেয়া আনরা স্কুলে ইসরায়েলের হামলার স্থান পরিদর্শন করেছে। ৬ জুন, ২০২৪।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাহিনী গাজার মধ্যাঞ্চলে জাতিসংঘের একটি স্কুলে বিমান হামলা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, ওই হামলায় কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলায় অংশ নেয়া হামাস যোদ্ধারা স্কুলটিকে আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করছিল এবং সেখান থেকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ পরিচালনা করছিল।

হামাসের গণমাধ্যম কার্যালয় ইসরায়েলের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে বলে, ইসরায়েলি বাহিনী বাস্তুচ্যুত মানুষের ওপর “নৃশংশ হামলা” চালিয়েছে। তারা আরও বলে, নিহতদের মধ্যে ২৩ জন নারী ও শিশু।

ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিটার লারনার সাংবাদিকদের বলেন, ইসরায়েল কোনো বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে অবগত নয়।

নুসেইরাতে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য কাজ করে, জাতিসংঘের এমন এক এজেন্সি পরিচালিত একটি স্কুলে এ হামলা চালানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় প্রস্তাবিত ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রকাশ্যে বিবরণ দেয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পরে যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও ১৬টি দেশ বৃহস্পতিবার এই চুক্তির প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করেছে।

হামাসের প্রতি আহবান

বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা হামাসকে এই চুক্তিটি সমর্থন করার আহ্বান জানাচ্ছি। ইসরায়েল এই চুক্তিটি নিয়ে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। আমরা আমাদের নাগরিকদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে গাজায় হামাসের হাতে আটক কিছু জিম্মির মুক্তি, ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি অর্জনের লক্ষ্যে আলোচনা অব্যাহত রাখার আহ্বান।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধ শেষ হওয়ার সময় হয়েছে।

এতে বলা হয়, “এই চূড়ান্ত মুহূর্তে আমরা ইসরায়েল ও হামাসকে এই চুক্তি সমর্থন করতে এবং আমাদের জিম্মিদের পরিবারের পাশাপাশি বেসামরিক জনগণসহ এই ভয়াবহ সংঘাতের উভয় পক্ষের মানুষের জন্য স্বস্তি আনতে প্রয়োজনীয় চূড়ান্ত সমঝোতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রিয়া, ব্রাজিল, ব্রিটেন, বুলগেরিয়া, কানাডা, কলম্বিয়া, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, সার্বিয়া, স্পেন ও থাইল্যান্ড।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG