মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভল্কার তুর্ক অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতার অবসান চেয়েছেন এবং ৭ অক্টোবর থেকে সেখানে ৫০ ‘র বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যুর জন্য ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী ও বসতিস্থাপনকারীদের নিন্দে করেছেন।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তুর্ক বলেন, “হত্যা , ধ্বংসযজ্ঞ এবং মানবাধিকারের ব্যাপক লংঘন ঘ্রহণযোগ্য নয় এবং অবিলম্বে তার অবসান হতে হবে। ইসরায়েলকে মানবাধিকারের নিয়ম এবং মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আলোচনার নিয়মগুলি কেবল যে গ্রহণ করতে হবে তাই-ই নয়, প্রয়োগও করতে হবে”।
হাই কমশিনার বলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর এমন ৮০টির ও বেশি ঘটনার দিকে নজর রেখেছে যাতে এ রকম ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে নিরাপত্তা বাহিনী “ অপ্রয়োজনীয় এবং কোন হিসেব ছাড়াই মারণাস্ত্র ব্যবহার করে” ক্রমাগত ভাবে মানবাধিকার আইন লংঘন করে আসছে।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে তাত্ক্ষণিক কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রয়টার্স বার্তা সংস্থা জেনিভায় ইসরায়েলের কুটনৈতিক মিশনের বরাত দিয়ে বলেছে যে তারা বলছে পশ্চিম তীরে তারা যা করেছে তা ছিল মিশনের বর্ণনায় আক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ‘এর প্রতিক্রিয়া।
তাতে বলা হয় “ যেখান থেকেই ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসবাদের উদ্ভব হোক না কেন, আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের জনগণের সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষার জন্য ইসরায়েল তার বিরুদ্ধে তত্পরতা চালিয়ে যাবে”।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর রয়টার্সকে বলেছে যে ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ৪০০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং বসতিস্থাপনকারীরা ১০ জনকে হত্যা করেছে।
ইসরায়েলের পশ্চিমি মিত্ররা বসতিকারীদের সহিংসতা রোধে ইসরাইলকে আরও পদক্ষেপ নিতে বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশ সহিংস বসতিস্থাপনকারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।