ইসলামাবাদ হাই কোর্ট রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির কারাদণ্ড বাতিল করেছে।
সোমবার একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে, যেটা ভিওএ-র সংবাদদাতা পর্যবেক্ষণ করেন, হাই কোর্টের দুজন বিচারপতি কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে খান এবং কুরেশির আপিল গ্রহণ করেন এবং তাদেরকে বেকসুর খালাস করে দেয়।
জানুয়ারি মাসে নিম্ন আদালত, যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের পাঠানো গোপন বার্তা ফাঁস করে দেয়ার অভিযোগে খান এবং কুরেশি, দুজনকেই ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এই মামলা “সাইফার কেস” নামে পরিচিতি পায়।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন যুক্তি দেন যে, “ভুয়া মামলাটি” রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছিল, এবং বিচার প্রক্রিয়া নিরপেক্ষে ছিল না।
তবে হাই কোর্টের আদেশ সত্ত্বেও, খান এবং কুরেশি জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না। খান, যাকে গত বছর অগাস্ট মাসে কারাগারে পাঠানো হয়, অবৈধ বিয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা খাটছেন।
'অসৎ প্রচেষ্টা ডাস্টবিনে'
কুরেশিকে এখনো গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। গত বছর মে মাসে খান গ্রেফতার হবার পর তাঁর সমর্থকরা প্রতিবাদ করার জন্য সামরিক এবং সরকারি স্থাপনায় হানা দিলে যে সহিংসতা হয়, তার জন্য কুরেশিকে দায়ী করে কয়েকটি অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে।
ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-এ-ইনসাফ বা পিটিয়াই দল সোমবার হাই কোর্টের রায়কে স্বাগত জানায়। এই দুঃসময়ে ভাল খবরের জন্য দলের সমর্থকদের অভিনন্দন জানিয়ে পিটিআই প্রধান জুলফিকার বাহারি সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লেখেন, “আইকে (ইমরান খান) এবং এসেমকিউ (শাহ মাহমুদ কুরেশি) কে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করার অসৎ প্রচেষ্টা এখন ডাস্টবিনে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
তারাহুরা করে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের আইন বিষয়ক মুখপাত্র আকিল মালিক বলেন,বাদীপক্ষ হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত দেশের সর্বোচ্চ আদলতে আপিল করতে পারে।
“যদি কৌঁসুলিরা মনে করেন এই রায়ে কোন ভুলত্রুটি ছিল, বা রায় চ্যালেঞ্জ করা দরকার, তখন তারা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেবে,” মালিক বলেন।