অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

টি-২০ ক্রিকেট বিশ্ব্বকাপ

টি২০ বিশ্বকাপঃ জোন্সের দাপটে প্রথম ম্যাচে কানাডার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জয়  


যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারন জোন্স হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর দর্শকদের অভিনন্দনের গ্রহণ করছেন। ফটোঃ ১ জুন, ২০২৪।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারন জোন্স হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর দর্শকদের অভিনন্দনের গ্রহণ করছেন। ফটোঃ ১ জুন, ২০২৪।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শনিবার কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অ্যারন জোন্সের ৪০ বলে অপরাজিত ৯৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংসটি এই জয় এনে দেয় তাদের।

জোন্সের জন্ম নিউ ইয়র্কে হলেও বেড়ে ঊঠেছেন বার্বাডোজে। খেলায় কানাডিয়ান আক্রমণকে একদমই উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি দশটি ছক্কা হাঁকিয়ে। জোন্স এবং অ্যান্ড্রিস গাউসের তৃতীয় উইকেটের দুর্দান্ত জূটি ১৩১ রান তুলে খেলার গতি পুরোপুরি বদলে দেন ।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অনূর্ধ্ব -১৯ ব্যাটসম্যান গাউস, ডিপ মিডউইকেটে নিখিল দত্তের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪৬ বলে ৬৫ রান তুলে নেন। দলকে সপ্তম ওভারে ৪২-২ থেকে ১৬তম ওভারে ১৭৩-৩ পর্যন্ত ফিনিশিং লাইনের কাছাকাছি নিয়ে গিয়ে তাদের দুজনের পার্টনারশিপ শেষ হয়।

নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অলরাউন্ডার কোরি অ্যান্ডারসন মাঠে নামেন, এবং জোন্স তাঁর ইনিংসের দশম ছক্কা হাঁকিয়ে খেলা শেষ করেন।

গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে এই খেলা দিয়ে টুর্নামেন্টের চমৎকার সূচনা হয়, যেখানে সমর্থকরা জোন্সের কানাডিয়ান বোলিংকে আক্রমণের দৃশ্য চিৎকার করে উপভোগ করে।

“আমি মনে করি না ব্যাপারটা ভাষায় বোঝানো সহজ,” বলেন জোন্স, যার ১০টি ছয় ছিল ট২০ বিশ্বকাপ ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তাঁর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল ২০১৬ সালে ইংলাডের বিরুদ্ধে ১১টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন।

“তবে রান তাড়ার ক্ষেত্রে আমি পাওয়ার হিটিং পছন্দ করি। আর দল চাপে থাকলে এমনিতেই আমার সেরাটা বের হয়ে আসে,” তিনি বলেন।

এবছরই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছে কানাডার। দলের নাভনিত ধালিওয়াল ৪৪ বলে ৬টি চার এবং ৩টি ছক্কা সহ ৬১ রান করেন। তাছাড়া ওপেনার অ্যারন জনসন ১৬ বলে ২৩ রানের একটি চমৎকার আক্রমণাত্মক ইনিংস উপহার দেন।

তাছাড়া নিকোলাস কিরটন ৩১ বলে ৫১ রান করে ইনিংসের শেষার্ধ পর্যন্ত দলের গতি ধরে রাখেন। শ্রেয়স মোভারের ১৬ বলে ৩২ রান কানাডাকে শক্তিশালী সমাপ্তি ও গ্রুপ এ-তে একটি শক্তিশালী স্কোর করতে সাহায্য করে

XS
SM
MD
LG