বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ভাসমান পারমাণবিক চুল্লি মোতায়েনের পরিকল্পনা অন্যান্য দাবিদারদের সাথে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে এবং আঞ্চলিক সুরক্ষাকে ক্ষুণ্ণ করার ঝুঁকিতে পড়তে পারে এবং দাবিদারদের চীনকে মোকাবিলায় বহুপাক্ষিক কাঠামোর মাধ্যমে কাজ করা উচিত।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ চীন সাগরে পুনরুদ্ধার করা দ্বীপগুলোতে ২০টি ভাসমান পরমাণু বিদুৎকেন্দ্র পাঠানোর পরিকল্পনা করছে চীন।
২০১৬ সালে পার্মানেন্ট কোর্ট অব আরবিট্রেশনের এক রায়ে এই দাবিকে ‘আইনগত ভিত্তি নেই’ বলে প্রত্যাখ্যান করা সত্ত্বেও চীন দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে। মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইনও কিছু দ্বীপপুঞ্জ এবং সমুদ্রের কিছু অংশের দাবি করে।
ভারত-ভিত্তিক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের সহযোগী ফেলো প্রত্নশ্রী বসু ভয়েস অফ আমেরিকাকে একটি ই-মেইলের মাধ্যমে বলেন, যদি চুল্লিগুলো দ্বীপ, পাথর, নিম্ন-জোয়ার বা মনুষ্যসৃষ্ট দ্বীপগুলোতে মোতায়েন করা হয় তাহলে অভিযোগকারীরা এই চুল্লিগুলোকে তাদের সার্বভৌমত্বের জন্য ‘সরাসরি চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে দেখছে।
সিঙ্গাপুর ভিত্তিক আইএসইএএস ইউসুফ ইসহাক ইন্সটিটিউটের সহযোগী সিনিয়র ফেলো হা হোয়াং হোপ ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “চীন যদি দক্ষিণ চীন সাগরের চারপাশে ভাসমান পারমাণবিক কেন্দ্রটি চালায় তাহলে অন্যান্য দাবিদারদের কিছু যায় আসে না।”
চীনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইন কী করতে পারে তা জানতে চাইলে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্ডিয়ান নট সেন্টার ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইনোভেশনের টিম লিডার রেমন্ড পাওয়েল ভয়েস অফ আমেরিকাকে ইমেইলে বলেন, তিনি নিশ্চিত নন যে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র ব্যবহারের বিরোধিতা করার কোনো সুযোগ আছে কি না।