যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী বলছে গাজার উপকুলে এখন একটি অস্থায়ী ঘাট লাগানো হয়েছে । আর এটি হচ্ছে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে র শিকার কুড়ি লক্ষ ফিলিস্তিনির মধ্যে ত্রাণ বিতরণের পথ সম্পন্ন করার চূড়ান্ত পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপার বৃহস্পতিবার সংবাদদতাদের বলেন, “ আজ সকালে , এই তো মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে গাজার সৈকতে ঐ অস্থায়ী ঘাটটি লাগানো হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে, আমরা ত্রাণ সরবরাহ শুরু করবো”।
কুপার বলেন জাহাজগুলিতে প্রায় ৫০০ টন মানবিক ত্রাণ সামগ্রী তোলা হয়েছে এবং সেই ত্রাণ বিতরণের পর আরও হাজার হাজার টন এর সঙ্গে যুক্ত হতে প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন আমাদের মনোযোগ হচ্ছে মানবিক সহায়তা প্রদান যাতে করে স্থলপথে সহায়তা পাঠানোর অভাব পূরণ করা যায়। আমরা জানি স্থলপথে সাহায্য তিরণ করা হচ্ছে সব চেয়ে দক্ষ উপায়”।
নতুন এই সমুদ্রপথের অনেকগুলি অংশ রয়েছে , প্রথমে এই সব সহায়তা সামগ্রীকে সাইপ্রাসে নিরাপত্তা তল্লশির মধ্য দিয়ে যেতে হবে । তার পর এই সব সামগ্রী গাজা উপকুলের অদূরে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি ভাসমান প্ল্যটফর্মের উপর তোলা হবে । তারপর এগুলো ট্রাকের উপর তোলা হবে এবং তারপর ট্রাকগুলিকে বহন করবে ছোট ছোট নৌকা । আর এই নৌকাগুলি ওই নবনির্মিত অস্থায়ী ঘাটে পৌঁছাবে।
বিতরণ
প্রতিটি জলযান ৫ থেকে ১৫টি ট্রাককে উপকুলে নিয়ে যেতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তার মতে সম্পূর্ণ চালু হলে ওই ঘাট থেকে ১৫০ ট্রাকভর্তি ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো সম্ভব হবে।
এই চালান গ্রহণ করার এবং যথাস্থানে বিতরণের সমন্বয় করার দায়িত্বে থাকবে জাতিসংঘ।এই ব্যবস্থা সেখানে ত্রাণ সামগ্রী বৃদ্ধি করার একটি প্রচেষ্টারই অংশ কারণ মানবিক সংস্থাগুলি বলছে ফিলিস্তিনি অসামরিক লোকজনদের জন্য এখনও ত্রাণের পরিমাণ অপ্রতুল।
ইউএসএআইডি’র মানবিক সহযোগিতা ব্যুরোর সহকারী প্রশাসক সোনালী কোর্দে বলেন, “আশ্রয়স্থল, খাদ্য, স্বাস্থ্য , পুষ্টিহীনতা , বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃপ্রনালীর প্রয়োজনীয়তার ক্ষেত্রে যে ফাঁক রয়ে গেছে তা পূরণের জন্য এই আমেরিকান করিডর অত্যাবশ্যক।