মঙ্গলবার কিয়েভে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া সহায়তা প্যাকেজকে “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ” বলে অভিহিত করেন এবং ধন্যবাদ জানান।
এই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগেই ব্লিংকেন অঘোষিত সফরে কিয়েভে পৌঁছান। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ভাষায়, ব্লিংকেন এমন এক সময় কিয়েভকে “আশ্বস্ত করার বলিষ্ঠ বার্তা” নিয়ে এসেছেন যখন ইউক্রেনীয় বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলে রুশ সামরিক বাহিনীর তীব্র হামলার মোকাবিলা করছে এবং প্রতিরক্ষায় সহায়তা করার জন্য মিত্রদের কাছ থেকে নতুন অস্ত্রের চালানের অপেক্ষায় রয়েছে।
জেলেন্সকি ব্লিংকেনকে জানান, এমন সময় তিনি সফরে এসেছেন যখন “আমাদের দেশের পূর্বাঞ্চল কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।”
গত এক সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খারকিভ অঞ্চলে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে।
জেলেন্সকি জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নতুন সহায়তা যত দ্রুত সম্ভব নিয়ে আসা এবং ইউক্রেনের আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও বলিষ্ঠ করার বিষয়গুলো নিয়ে ব্লিংকেনের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি আরও আশা করছেন যে খারকিভকে সুরক্ষা দিতে ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে জানান, ব্লিংকেন “যুদ্ধক্ষেত্রের সর্বশেষ তথ্য, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আসা নতুন নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহায়তার প্রভাব, দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপত্তা ও অন্যান্য অঙ্গীকার এবং ইউক্রেনের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করার চলমান কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করবেন।”
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধ উদ্যোগে সহায়তা করতে দেশটি ৪০ কোটি ডলার মূল্যমানের অস্ত্র ও উপকরণের প্যাকেজ দেবে।
হোয়াইট হাউস সোমবার বলেছে, খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ার স্থলবাহিনীর আগ্রাসনের মোকাবিলায় ইউক্রেনকে সহায়তা করতে তারা যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য “সর্বাত্মক” প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
বাহিনীর আকার ও অস্ত্র-গোলাবারুদের পরিমাণ, উভয় দিক দিয়ে রাশিয়া থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে ইউক্রেনে। যার ফলে তাদের জন্য এখন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে এবং দেশটি এর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।