সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রাতভর হামলায় ইউক্রেনের ছোঁড়া ৩১টি ড্রোন ও ১৬টি ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, রুশ অধিকৃত ক্রাইমিয়ায় সাতটি ড্রোন ও চারটি গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে, কুরস্কের আকাশে আটটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে এবং লিপেটস্ক অঞ্চলে চারটি ড্রোন প্রতিহত করা হয়েছে।
ইউক্রেনের হামলার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চল। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা বেলোগোরোদের আকাশে ১২টি ড্রোন ও ১২টি গাইডেড মিসাইল ধ্বংস করেছে।
সোমবার আঞ্চলিক গভর্নর জানান, ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হওয়ার একদিন পর বেলগোরোদে এ হামলা চালানো হলো।
ইউক্রেনের জ্বালানি
সোমবার ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানায়, রুশ হামলায় দেশটির পাওয়ার গ্রিডের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় তারা ১৯ হাজার ৪৮৪ মেগাওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করেছে, যা মার্চের রেকর্ড ভাঙবে।
পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়াসহ একাধিক মিত্র দেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী জার্মান গালুশচেঙ্কো সোমবার ভোক্তাদের তাদের জ্বালানি ব্যবহার হ্রাস করার আহ্বান জানান। কারণ রাশিয়ার আক্রমণের ফলে ইউক্রেনের জ্বালানি উৎপাদন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।
গত এক সপ্তাহে এসব হামলায় ইউক্রেনের তিনটি তাপবিদ্যুত কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গালুশ্চেঙ্কো সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তীব্র শীতের জন্য লোকজনকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
খারকিভের লড়াই
আঞ্চলিক গভর্নর ওলেগ সিনিহুবভ জানান, শুক্রবার থেকে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ অঞ্চলের আশেপাশের এলাকা থেকে চার হাজারের বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে।
আর্টিলারি ও মর্টার ব্যবহার করে রুশ বাহিনী ওই এলাকার শহর ও গ্রামগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।
রুশ বাহিনী রাশিয়ার সীমান্তের তথাকথিত বিরোধপূর্ণ অঞ্চল দখল করায় খারকিভ অঞ্চল থেকে ইউক্রেনের অন্তত একটি ইউনিট সরে গেছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।