ফিলিপাইনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শুক্রবার দক্ষিণ চীন সাগরে তিক্ত দ্বন্দ্বের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিতে ফিলিপাইনের অ্যাডমিরালের সাথে ফোনালাপের একটি কথোপকথন ফাঁসের অভিযোগে চীনা কূটনীতিকদের বহিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এডুয়ার্ডো আনো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ম্যানিলায় চীনের দূতাবাস বিভেদ, বিভাজন এবং অনৈক্য বপনের লক্ষ্যে " বারবার বিভ্রান্তি, ভুল তথ্য এবং অপপ্রচারের কাজ " করেছে।
তিনি বলেন, এই ক্রিয়াকলাপগুলিকে "গুরুতর শাস্তি ছাড়া এবং কোন বিধি-নিষেধ ছাড়াই চলতে দেওয়া উচিত নয়।”
ম্যানিলায় চীনের দূতাবাস কূটনীতিকদের বহিষ্কারের আহ্বানের বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাত্ক্ষণিক সাড়া দেয়নি। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের দপ্তর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর কাছে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলে তাত্ক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি।
এই দুই দেশ গত বছর দক্ষিণ চীন সাগরের বিষয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্রদের সমর্থনে উৎসাহিত হয়ে চীনের বিশাল উপকূলরক্ষী বাহিনী দ্বারা দখলকৃত জলসীমায় তাদের কার্যক্রম বাড়ায়।
চীন ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ এবং বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ করেছে, যখন ম্যানিলা বেইজিংকে তার একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের অভ্যন্তরে আগ্রাসন এবং বিপজ্জনক কৌশলের নীতির জন্য তিরস্কার করেছে।
কূটনীতিকদের বহিষ্কার বিতর্ককে আরো তীব্র করতে পারে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, কূটনৈতিক প্রতিবাদ এবং দুটি বিবাদিত চড়ায় ফিলিপাইনের জাহাজগুলিতে ধাক্কা এবং জলকামান ব্যবহার করা পর্যন্ত বিষয়টি সীমিত ছিলো। এই চড়াগুলির মধ্যে সবচেয়ে নিকটবর্তীটি চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে ৮৫০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত।"
আনো এই সপ্তাহে একজন চীনা কূটনীতিক এবং একজন ফিলিপাইনের অ্যাডমিরালের মধ্যে ফোনালাপ ফাঁসের উপর একটি সংবাদ প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করছিলেন। ফোনালাপে দক্ষিণ চীন সাগরের একটি বিরোধ নিয়ে আলোচনা করছিলেন এই দুজন। ফোনালাপের প্রতিলিপি থেকে মনে হচ্ছে অ্যাডমিরাল চীনের সাথে ছাড় দিতে সম্মত হয়েছেন।