পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলের মীর আলীর বাসিন্দা তুফায়েল দাওয়ার, ৩০ এপ্রিল একটি বেদনাদায়ক দিনের কথা বর্ণনা করেছেন যেদিন তিনি এবং তার গ্রামবাসীরা বাইরের বন্দুকযুদ্ধের কারণে বাড়িতে আটকা পড়েছিলেন।
দাওয়ার বলেন, "আমাদের গ্রামে একটি সামরিক অভিযানের সময় নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলি চলায় আমরা সারাদিন বাইরে যেতে পারিনি।” তিনি বলেন গুলি বিনিময়ের সময়, তার এক চাচাতো ভাই আহত হয়েছিলেন, যিনি বর্তমানে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আফগান সীমান্ত ও সংলগ্ন অঞ্চলে পাকিস্তানের অশান্ত উপজাতীয় জেলার বাসিন্দারা ভয়েস অফ আমেরিকার দিওয়া ভাষা বিভাগকে বলেন যে
ক্রমবর্ধমান সামরিক অভিযানের কারণে অনেক এলাকাকে প্রবেশ-নিষিদ্ধ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে তাদের দৈনন্দিন চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
মাওলানা নকিবুল্লাহ খান ফোনে ভয়েস অফ আমেরিকার দিওয়া বিভাগকে বলেন, "আমাদের গ্রামকে নিরাপত্তা বাহিনী প্রবেশ-নিষিদ্ধ অঞ্চল ঘোষণা করেছে এবং কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে না। জীবিকার কোনো উৎস নেই এবং সামরিক অভিযানের কারণে অনেক পরিবার এলাকা ছেড়েছে।"
খান বলেছেন যে প্রায় ৬০ জন বাসিন্দাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য গত তিন মাসে স্থানীয়রা নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে আলোচনা করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের জঙ্গিদের খাবার ও চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
কাদেরার গ্রাম পরিষদের সদস্য মুহাম্মদ আমিন বলেছেন, "পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে; আমরা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে হেলিকপ্টার গোলাগুলি দেখেছি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়রা সম্পত্তি
এবং মানুষের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং আমরা এ নিয়ে বৈঠক করেছি, তারপরও তা অব্যাহত রয়েছে।” কাদেরা গ্রাম উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে ৯০০ বাড়ি অধ্যূষিত একটি কমিউনিটি।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বলছে যে সেনাবাহিনী, পুলিশ, গোয়েন্দা এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দেশটিতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন ১০০ টিরও বেশি অভিযান পরিচালনা করছে।