ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতির কোনো চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ার মধ্য দিয়ে শনিবার হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনা শেষ হয়েছে।
মধ্যস্থতাকারীরা ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। খসড়া চুক্তি অনুযায়ী, এ সময় ইসরায়েলের হাতে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে হামাস ইসরায়েলি বেসামরিক নারী জিম্মিদের মুক্তি দিতে শুরু করবে।
হামাস যুদ্ধের স্থায়ী অবসান ও গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংসের অঙ্গীকার করেছে এবং জিম্মি মুক্তির শর্ত হিসেবে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগে সম্মতি দেয়নি। একইসঙ্গে তারা রাফাহ শহরে স্থল অভিযানের পরিকল্পনাও বাতিল করেনি।
আলোচনা শুরুর পর এক শীর্ষ ইসরায়েলি কর্মকর্তা হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অবসানের দাবিতে অটুট থেকে “চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনাকে আমূলে বিনষ্ট করার” অভিযোগ আনেন। কায়রোতে ইসরায়েল কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি।
স্থানীয় সময় রাত ৯টা বাজার কিছুক্ষণ আগে আলোচনা সংশ্লিষ্ট এক জ্যেষ্ঠ হামাস সূত্র এএফপিকে জানান, রবিবার আবারও আলোচনা শুরু হবে।
এর আগে, শনিবার মিশরীয় রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছিল, আলোচনায় “উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি” হয়েছে।
সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস শুক্রবার ওয়াশিংটনের কূটনীতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে কায়রো এসে পৌঁছান। বার্নসের সফরসূচি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে সিআইএ।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রস্তাবকে “অসাধারণ উদারতার” নিদর্শন হিসেবে অভিহিত করেন এবং হামাসকে এটি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
মধ্যস্থতাকারীদের শর্তগুলো হামাস মেনে নেবে কি না এবং একই সঙ্গে হামাসকে ধ্বংস করার সর্বাত্মক যুদ্ধের পরিকল্পনা থেকে ইসরায়েল সরে আসবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো হামাসকে একটি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।