বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করেছে যে এই সপ্তাহান্তে তানজানিয়া এবং কেনিয়াতে আঘাত হানা গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় হিদায়া, এ এলাকাগুলোতে এবং পূর্ব আফ্রিকার অন্যান্য ভারী বন্যাকবলিত দেশগুলিতে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে মানবিক সংকটকে হুমকির মুখে ফেলবে।
শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদদাতাদের ডব্লিউএমওর মুখপাত্র ক্লেয়ার নুলিস বলেছেন, “হিদায়া হল প্রথম নথিভুক্ত সিস্টেম যা বিশ্বের এই অংশে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থানে পৌঁছেছে। আমরা সুদানের কথা বলছি না। আমরা নিম্ন এবং পূর্ব আফ্রিকার কথা বলছি।”
তিনি আরো বলেন, “এটি ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এটি একটি খুব বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে, এবং বিশেষ করে তানজানিয়ায়, যেখানে স্থল ইতোমধ্যেই একেবারে তলিয়ে গেছে। বন্যার কবলে পড়া তানজানিয়ায় আরও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে এর কারণে।”
তিনি উল্লেখ করেছেন, " আর এই গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের আর্দ্রতা কেনিয়াতেও প্রভাব ফেলবে, যেখানে খুব খারাপ বন্যাও হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন চরম আবহাওয়া সৃষ্টি করছে।"
এল নিনো, যেটি ভারী বৃষ্টিপাত এবং প্রবল বন্যার সৃষ্টি করেছিল পূর্ব আফ্রিকায়, তা হ্রাস পাচ্ছে। তা সত্ত্বেও, ডাব্লিউএমও বলেছে যে এই আবহাওয়ার ঘটনাটি এখনও একটি বড় ধাক্কা বহন করে এবং পূর্ব আফ্রিকান অঞ্চলে আরও ভারী বৃষ্টিপাত, বিধ্বংসী বন্যা এবং ভূমিধসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
হতাহতের পরিসংখ্যান বাড়ছে, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় রিপোর্ট করেছে যে এই বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে কেনিয়ায় অন্তত ২১০ জন, তানজানিয়ায় ১৫০জনেরও বেশি এবং বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা এবং সোমালিয়ায়ও কিছু প্রাণনাশের ঘটনা ঘটেছে।
ওসিএইচএ রিপোর্ট করেছে যে এই পাঁচটি দেশে ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যায় ৬,৩৭,০০০ এরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২,৩্০০০ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে যে সরকার এবং মানবিক সংস্থাগুলি এখনও অবকাঠামোর ক্ষতি এবং ধ্বংসের মূল্যায়ন করছে, যা কিনা ব্যাপক।