ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁর এই রকম মন্তব্য যাতে এ রকম ইঙ্গিত পাওয়া, যায় যে রাশিয়ার দখল করা অঞ্চলে ইউক্রেনের আক্রমণে তাদের দেশ সরাসরি সম্পৃক্ত হতে পারে একে ক্রেমলিন “বিপজ্জনক” মন্তব্য বরে আখ্যায়িত করেছে।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দ্যমিত্রি পেসকভ বলেন, “ ইউক্রেনেরসংঘাতকে নিয়ে এ হচ্ছে সরাসরি উত্তেজনা বৃদ্ধি যা ইউরোপীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বস্তুতে গোটা ইউরোপের নিরাপত্তার স্থাপত্যের উপর, সম্ভাব্য বিপদ ডেকে আনতে পারে”।
তিনি বলেন, “এই আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি বিপজ্জনক ভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রণতা। এটা হচ্ছে আমাদের উদ্বেগের কারণ”।
এই ব্রিফিং’এ রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্রী মারিয়া জাকারোভা বলেন, “এই প্রথমবার একজন পশ্চিমি রাজনীতিক পরিস্কার ভাবে স্বীকার করলেন এমন কথা যা বিশ্বের অধিকাংশ লোকের জন্য জানা গোপন কথা যে পশ্চিম ইউক্রেনের হাত দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রচ্ছন্ন যুদ্ধ চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন যে ব্রিটিশ অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন যদি রাশিয়ার অঞ্চলে আঘাত হানে তা হলে রাশিয়া ‘এর জবাব দেবে।
কিয়েভে এক সফরের সময়ে ক্যামেরন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন যে আত্মরক্ষার্থে আঘাত হানার অধিকার ইউক্রেনের আছে। তিনি বলেন, “ ঠিক যেমন রাশিয়া ইউক্রেনের ভেতরে আঘাত হানছে, আপনিতো আজ সহজেই বুঝতে পারেন ইউক্নেন কেন এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছে যে তারা নিজেদের প্রতিরক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে।
ক্যামেরন , “যতদিন লাগে ততদিন অবধি”ইউক্রেনকে বছরে সামরিক সহায়তা বাবদ ৩৭০ কোটি ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন এবং বলেন রাশিয়ার ভেতরে ব্রিটিশ অস্ত্র ব্যবহারে লন্ডনের কোন আপত্তি নেই।
আরেকটি পৃথক সাক্ষাত্কারে বৃহস্পতিবার , ম্যাক্রঁ তাঁর আগেকার কথার পুনরাবৃত্তি করে বলেন তিনি ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি বাদ দিচ্ছেন না। রাশিয়া বলছে এই পদক্ষেপ এই সংঘাতে প্রত্যক্ষ ও বিপজ্জনক ভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে।