অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরুর প্রতিবাদে নেয়া সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে পরীক্ষায় অংশ নিতে রাজি হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বুয়েট প্রশাসনের সঙ্গে শ্রেণি প্রতিনিধিদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিক।

আগামী ১১ মে থেকে পরীক্ষা শুরু হবে এবং শিগগিরই পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশিত হবে বলে জানান তিনি। ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে, গত ২০ এপ্রিল সব পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলো বুয়েট কর্তৃপক্ষ।

পূর্বকথা

গত ২৯ মার্চ ছাত্র রাজনীতি নিয়ে বুয়েটে আন্দোলন শুরু হয়। পরে আন্দোলনের বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলতে বাধা নেই।

গত ২৮ মার্চ ছাত্রলীগের সভাপতি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে, ছাত্রলীগ বুয়েট শাখা কমিটি গঠন করছে এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়ে এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তার সঙ্গে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।

সেইসঙ্গে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রাখার দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। এর পর আন্দোলনের বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত।

এছাড়া, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাদের সমাগম ঘটানোর কারণে, বুয়েট-এর শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাহিম রাব্বীর আবাসিক হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) উচ্চ আদালত এই আদেশ দেন।

অন্যদিকে, ছাত্র রাজনীতি নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে, বুয়েটে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। সোমবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে, বুয়েট শিক্ষার্থীদের কাছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের ইমেইল প্রেরণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং এ বিষয়ে দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

বুয়েট শিক্ষক সমিতি বিবৃতিতে বলেছে, “একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও নিষ্কলুষ ক্যাম্পাস আমাদের সবার কাম্য। সব অংশীজনের সহযোগিতা ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে অচিরেই সে অবস্থা ফিরে আসবে বলে শিক্ষক সমিতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।”

XS
SM
MD
LG