মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে সমর্থন দেয়ার দায়ে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দী এক জনপ্রিয় র্যাপারকে ইরানের একটি আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রচারমাধ্যম।
এক মাস আগে ২২ বছর বয়সী আমিনির পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর পর শুরু হওয়া বিক্ষোভের ঢেউকে প্রকাশ্যে সমর্থন করার পরে ৩৩ বছর বয়সী তুমাজ সালেহিকে ২০২২ সালের অক্টোবরে গ্রেপ্তার করা হয়।
নারীদের জন্য কঠোর পোশাক নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে তেহরানের নীতি পুলিশ ওই ইরানি কুর্দি নারীকে আটক করেছিল।
২০২৩ সালে সালেহিকে ছয় বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তবে সে সময় গায়কের আইনজীবী আমির রাইসিয়ান জানিয়েছিলেন, ১৮ নভেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। রাইসিয়ান বলেন, সুপ্রিম কোর্ট ছয় বছরের কারাদণ্ডের প্রাথমিক সাজার মধ্যে ‘ত্রুটি’ খুঁজে পেয়েছিল।
দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে র্যাপারকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়।
রাইসিয়ান বলেন, রেভ্যুলিউশনারি আদালত সালেহির বিরুদ্ধে “রাষ্ট্রদ্রোহ সমাবেশ এবং আঁতাত, সিস্টেমের বিরুদ্ধে প্রচার এবং দাঙ্গার আহ্বান জানানোর অভিযোগ” যুক্ত করেছে।
বুধবার সংস্কারপন্থী শার্ঘ পত্রিকার বরাত দিয়ে রাইসিয়ান বলেন, “ইসফাহান বিপ্লবী আদালতের শাখা ১…পৃথিবীতে দুর্নীতির অভিযোগে সালেহিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।”
আদালত “একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপে, তাদের স্বাধীনতার ওপর জোর দিয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্টের রায় কার্যকর করেনি।” রাইসিয়ান বলেন, “আমরা অবশ্যই এই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করবো।”
২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আমিনির মৃত্যুর পর কয়েক মাস ধরে চলা অস্থিরতায় কয়েক ডজন নিরাপত্তা কর্মীসহ শত শত মানুষ নিহত হয় এবং আরও হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইরানি কর্মকর্তারা এই বিক্ষোভকে দাঙ্গা বলে অভিহিত করেন এবং তেহরানের বিদেশী শত্রুদের বিরুদ্ধে অস্থিরতা উস্কে দেয়ার অভিযোগ করেন।
নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা ও অন্যান্য সহিংসতার অভিযোগে নয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।