অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইসরায়েল এবং ইউক্রেনের জন্য সামরিক সাহায্যর প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস শনিবার ভোট দেবে


যুক্তরাষ্ট্র সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রেপ্রেসেন্টেটিভ-এর স্পিকার মাইক জনসন। ফটোঃ ১৬ এপ্রিল, ২০২৪।
যুক্তরাষ্ট্র সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রেপ্রেসেন্টেটিভ-এর স্পিকার মাইক জনসন। ফটোঃ ১৬ এপ্রিল, ২০২৪।

যুক্তরাষ্ট্র সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রেপ্রেসেন্টেটিভ-এর স্পিকার বুধবার ঘোষণা করেছেন, ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য আমেরিকার সামরিক সাহায্য পুনরায় শুরু করার উপর ভোট নেয়া হবে।

এই পদক্ষেপের ফলে স্পিকার মাইক জনসনের সাথে তার নিজস্ব রিপাবলিকান দলের দক্ষিণপন্থিরা মুখোমুখি হবেন। তারা কয়েক মাস ধরে ইউক্রেন বাহিনীর জন্য সাহায্য আটকে রেখেছে।

“আমরা ধারনা করছি এই প্রস্তাবগুলোর উপর চূড়ান্ত ভোট শনিবার সন্ধ্যায় নেয়া হবে,” স্পিকার জনসন ঘোষণা দেন।

রাশিয়ার আগ্রাসনের তৃতীয় বছরে ইউক্রেন যখন রুশ বাহিনীকে আটকে রাখতে প্রচণ্ড সমস্যার মধ্যে আছে, তখন জনসনকে ওয়াইট হাউস এবং কংগ্রেসের বেশির ভাগ সদস্য প্রবল চাপ দিচ্ছেন। তারা চান স্পিকার যেন সংসদের উচ্চকক্ষ সেনেটে ইতোমধ্যে পাস হওয়া সাহায্যর প্রস্তাব নিমকক্ষে ভোটের অনুমতি দেন।

তবে, রিপাবলিকান দলের যেসব হাউস সদস্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি অনুগত, তাদের হাতে আছে দলের ক্ষমতার ভারসাম্য। এর ফলে স্পিকারের নিজের অবস্থানও এখন বিপন্ন।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (পেছনে স্পিকার জনসন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস) ফটোঃ ৭ মার্চ, ২০২৪।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (পেছনে স্পিকার জনসন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস) ফটোঃ ৭ মার্চ, ২০২৪।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন এবং ইসরায়েলকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের দুটি মিত্র, যারা সাহায্যের জন্য মরিয়া’ বলে বর্ণনা করার কিছুক্ষণ পরেই জনসনের ঘোষণা আসে।

“এই দুটি দেশ নিজেরা নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সক্ষম, কিন্তু সেটা করতে তারা সমরাস্ত্র সহ আমেরিকান সাহায্যর উপর নির্ভর করে,” দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এ এক মতামত কলামে বাইডেন লিখেছেন।

ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য সেনেটে পাস হওয়া সাহায্য প্রস্তাবকে বাইডেন “শক্তিশালী এবং বিচক্ষণ” বলে বর্ণনা করেন।

“রিপাবলিকান দলের হাউস সদস্যদের ছোট একটি উগ্রবাদী গ্রুপের উচিত হবে না এই প্রস্তাবকে জিম্মি করে রাখা,” তিনি বলেন।

ইরান এবং রাশিয়া 'নির্লজ্জ' প্রতিপক্ষ

জার্নাল পত্রিকায় বাইডেন যুক্তি দেন যে, এই সাহায্য ইউক্রেনের দরকার, যাদের গোলা-বারুদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর গত সপ্তাহান্তে ইরানের ড্রোন আক্রমণের পর ইসরায়েলের সাহায্য দরকার।

তবে তিনি বলেন এই সাহায্য যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যও একই গুরুত্ব বহন করে।

“ইউক্রেন এবং ইসরায়েল দু’দেশই নির্লজ্জ প্রতিপক্ষের আক্রমণের মুখে, যারা তাদের নিশ্চিহ্ন করতে চায়। মিঃ পুতিন ইউক্রেনের জনগণকে বশে এনে নতুন রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যে নিয়ে আসতে চান। ইরানের সরকার ইসরায়েলকে চিরতরে ধ্বংস করে বিশ্বের মানচিত্র থেকে একমাত্র ইহুদী রাষ্ট্র মুছে ফেলতে চায়,” লিখেছেন বাইডেন।

“এরকম ফলাফল আমেরিকার কখনোই মেনে নেয়া উচিত না। এটা শুধু আমাদের মিত্রদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্যই নয়। আমাদের নিজেদের নিরাপত্তাও এখানে জড়িত আছে।”

তিনি রিপাবলিকানদের অভিযোগ, যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইএ টাকা খরচ করার সামর্থ্য আমেরিকার নেই, তার জবাবে বলেন এই সাহায্য একটি “সাদা চেক” হিসেবে দেয়া হবে না।

ইউক্রেনের জন্য সমরাস্ত্র আমেরিকার কারখানায় তৈরি করা হবে, তিনি বলেন।

“আমরা আমেরিকার শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগ করবো, ৪০টি রাজ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবো এবং আমাদের নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করবো,” বাইডেন বলেন।

XS
SM
MD
LG