সিডনির একটি গির্জায় কয়েকজনকে ছুরিকাঘাতে আহত করার পর, বিশ্বব্যাপী উগ্রবাদের পরিস্থিতি যাচাইয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করবে।
পুলিশের মতে এই হামলাকে সন্ত্রাসবাদের কাজ বলে ধরে নেয়া হচ্ছে । এই ঘটনায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গির্জাটি থেকে সরাসরি সম্প্রচার হওয়া ধর্মীয় বক্তব্য রাখার সময়ে সোমবার ঐ গির্জার একজন বিশপ , একজন যাজক এবং প্রার্থনা করছিলেন যারা তাদের অনেকেই আহত হন।
গির্জায় প্রার্থনাকারীরা সন্দেহভাজন কিশোরটিকে নিবৃত্ত করেন এবং পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
অস্ট্রেলিয়ার তদন্তকারীরা মনে করেন যে এই অভিযুক্ত আক্রমণকারীটি ধর্মীয় উগ্রবাদ দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।
এই হামলাকে সন্ত্রাসী ঘটনা বলে অভিহিত করায় তদন্তকারীরা আক্রমণকারীর সঠিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে তদন্ত করার জন্য আরও ক্ষমতা ও শক্তি পাচ্ছেন।
অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলি উগ্রবাদের বৈশ্বিক হুমকি মূল্যায়নে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রসহ নিরাপত্তা জোটের শরিকদের সঙ্গে কাজ করবে।
এই আসিরিয়ান অর্থডক্স চার্চের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে এক ব্যক্তি প্রার্থনার বেদীর দিকে হেঁটে যাচ্ছে।
এই অভিযুক্ত আক্রমণকারী একজন যাজককে জড়িয়ে ধরে তাকে বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাত করতে দেখা যায়। তার পর ঐ গির্জার লোকজন দৌড়িয়ে গিয়ে যাজককে সাহায্য করেন। সিডিনির এই ক্রাইস্ট, দ্য গুড শেফার্ড চার্চে সমবেত লোকজনের কন্ঠে তখন ভয়ার্ত চিত্কার শোনা যায়।
আহতদের মধ্যে ছিলেন একজন শীর্ষ স্থানীয় ক্রিশ্চিয়ান নেতা বিশপ মার মারি ইম্যানুয়েল । আরও ছিলের গির্জার যাজক এবং কয়েকজন ভক্ত। তবে আহতদের মধ্যে কারও প্রাণনাশী জখম হয়নি।
গির্জার বাইরে এই হামলায় ক্ষুব্ধ বিশাল সংখ্যক লোক পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং সন্দেহভাজন কিশোরটির উপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বলে, “ তাকে বাইরে নিয়ে আসুন”।
বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের একটি দল সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধেকা করেন এবং এলাকায় শান্তির আহ্বান জানান। সিডনির পশ্চিমাঞ্চল হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার সব চেয়ে বেশি সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ভাবে বৈচিত্রপূর্ণ এলাকা।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ সংবাদদাতাদের মঙ্গলবার বলেন, “ আমাদের সমাজে হিংসা-হানাহানির কোন স্থান নেই। সহিংস উগ্রবাদের কোন স্থান নেই। আমরা শান্তি-প্রিয় জাতি। সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য এটাই একতাবদ্ধ হবার সময়”।