ভারতের ছত্তীসগড় রাজ্যে মাওবাদী বিরোধী অভিযানে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বড় সাফল্য পেয়েছে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী। এই অভিযানের সময় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন ১৮ জন মাওবাদী। দুপক্ষের সংঘর্ষে নিরাপত্তাবাহিনীর ৩ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত ১৮ জনের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা শঙ্কর রাও রয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। রাজ্যের কাঁকের জেলায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক একে-৪৭ রাইফেল এবং বেশকিছু গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে যৌথ অভিযান শুরু করে বিএসএফ এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ ফোর্স। এই ফোর্স ২০০৮ সালে মাওবাদী দমনের লক্ষ্যে তৈরি হয়।
অভিযান কালে যে শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন, তাকে গ্রেফতারের জন্য ২৫ লাখ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছিলো। বস্তার জেলায় কর্মরত পুলিশের আইজি জানিয়েছেন, এই অভিযান সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় মাওবাদী বিরোধী অভিযান। এখনো ওই এলাকায় তল্লাশী অভিযান চলছে বলে জানান আইজি।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল বিজাপুরে যৌথ অভিযান চালায় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা পুলিশের বিশেষ দল ও মাওবাদী বিরোধী ফোর্স। ছত্তীসগড় ও তেলঙ্গানার সীমানা সংলগ্ন বিজাপুর জেলায়, পুজারী কাঙ্কের জঙ্গলে এই অভিযান চালানো হয়। সঙ্গে ছিলো ছত্তীসগড় পুলিশের একটি দল। সেই অভিযানে নিহত হয়েছিলেন তিন মাওবাদী।
এর আগে, গত ২ এপ্রিল এক অভিযানে নিহত হন ৯ মাওবাদী। সেই অভিযান চালিয়েছিলো ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, সিআরপিএফ এবং কোবরা বাহিনীর সদস্যরা।
আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় বস্তার জেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তাই, ভোটের আগে এই অভিযানকে সাফল্য হিসেবে দেখছেন নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা।