অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিশ্বে যুদ্ধ আক্রান্ত এলাকাগুলোতে শিশুরা ত্রাণ বঞ্চিত, বলছে জাতিসংঘ


২০২৪ সালের ২৪ মার্চ গাজা ভূখণ্ডের রাফা শহরের একটি বাড়িতে ইসরাইলি হামলার স্থানের কাছে এক ফিলিস্তিনি বালক দাঁড়িয়ে আছে। ফাইল ছবি।
২০২৪ সালের ২৪ মার্চ গাজা ভূখণ্ডের রাফা শহরের একটি বাড়িতে ইসরাইলি হামলার স্থানের কাছে এক ফিলিস্তিনি বালক দাঁড়িয়ে আছে। ফাইল ছবি।

বুধবার জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সুস্পষ্ট অবজ্ঞার কারণে বিশ্বজুড়ে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে শিশুদের জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের শিশু ও সশস্ত্র সংঘর্ষ বিষয়ক দূত ভার্জিনিয়া গাম্বা নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে বলেন, “আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, জেনেভা কনভেনশন এবং শিশু অধিকার বিষয়ক কনভেনশনে অভাবী শিশুদের মানবিক ত্রাণ সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় বিধান রয়েছে।”

তিনি বলেন, “শিশুদের জন্য মানবিক সহায়তা সহজলভ্য না করা এবং শিশুদের সহায়তাকারী ত্রাণকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলাও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে নিষিদ্ধ।”

তিনি বলেন, ২০২২ সালে তার কার্যালয় এ ধরনের প্রায় চার হাজার সহায়তা প্রত্যাখ্যানের ঘটনা যাচাই করেছে। এর মধ্যে অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল, ইয়েমেন, আফগানিস্তান এবং মালিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। গাম্বা বলেন, তার কার্যালয়ের আসন্ন প্রতিবেদনের তথ্যে দেখা যায়, নেতিবাচক প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, “কিছু পরিস্থিতিতে উচ্চ মাত্রার স্বেচ্ছাচারী বাধা এবং/অথবা শিশুদের জন্য মানবিক প্রবেশাধিকার সরাসরি অস্বীকার করার ঘটনা জড়িত। যেমন, যদি কেবল দুটি নাম উল্লেখ করা হয়, অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল এবং হাইতির মতো পরিস্থিতিতে।”

গাম্বা বলেন, ত্রাণ প্রবেশাধিকার অস্বীকার করার সাথে মানবিক কার্যক্রম ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপের, মানবিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ এবং ত্রাণ গ্রহীতাদের প্রতি বৈষম্য; বেসামরিক অবকাঠামোতে প্রত্যক্ষ ও নির্বিচারে হামলা; অপপ্রচার; লুটপাট; এবং মানবাধিকার কর্মীদের আটক, সহিংসতা এবং হত্যার সম্পর্ক রয়েছে।

শিশুরা বিশেষত পুষ্টি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার অভাবে ভোগে; এসবের প্রভাব আজীবন বিদ্যমান থাকে। গাম্বা বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য এটি আরও বিপর্যয়কর। এবং এটি কন্যা শিশুদের চেয়ে পুত্র শিশুদের আলাদাভাবে প্রভাবিত করে।

XS
SM
MD
LG