ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হেইতিতে অস্ত্র সরবরাহের অব্যাহত প্রবাহের নিন্দা জানিয়ে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ বলেছে, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত হেইতিতে গ্যাং সহিংসতায় দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ বিশৃঙ্খলা বিধ্বস্ত দেশটির পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে অভিহিত করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভোলকার টার্ক এক বিবৃতিতে বলেন, “এটি খুবই দুঃখজনক যে দেশের ভেতরে ভয়াবহ পরিস্থিতি সত্ত্বেও এখনো সেখানে অস্ত্র প্রবেশ করছে। আমি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আরও কার্যকর বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছি।”
জাতিসংঘ বলছে, এ বছর তথাকথিত আত্মরক্ষা ব্রিগেডগুলো কয়েক ডজন মানুষ পিটিয়ে হত্যা করেছে। এই চক্রের সদস্যদের অনেকেই দোষী সাব্যস্ত অপরাধী, যাদের মধ্যে চার হাজার হেইতির সবচেয়ে বড় দুটি কারাগার থেকে পালিয়েছে।
তুর্ক বলেন, “এই সমস্ত কর্মকাণ্ড একবারেই জঘন্য। অবিলম্বে এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত।”
নতুন প্রধানমন্ত্রী বাছাই
জাতিসংঘ বলেছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাং গুলোর মধ্যে লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত গ্যাং সদস্যরা দফায় দফায় নতুন আক্রমণ চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পুলিশ স্টেশন এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা।প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি গত ১১ মার্চ পদত্যাগের ঘোষনা দেন। তিনি হেইতি ছেড়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ড পুয়ের্তো রিকোতে রয়েছেন। গ্যাঙ্গগুলো তাকে হেইতিতে ফিরে যেতে বাধা দিচ্ছে।
নতুন প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের দায়িত্বে থাকা একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল বুধবার প্রথম আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করে হেইতিতে ‘জনসাধারণে ও গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা’ ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে।
কাউন্সিল বলেছে, “আমরা দীর্ঘকাল ধরে খারাপ শাসন, বহুমুখী সহিংসতা এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রয়োজনের প্রতি অবজ্ঞার মধ্যে আটকে থাকা হেইতির জনগণের দুর্দশা লাঘব করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
কাউন্সিলের সদস্যরা বলেন, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সাথে সাথে “হেইতিকে গণতান্ত্রিক বৈধতা, স্থিতিশীলতা এবং মর্যাদার পথে ফিরিয়ে আনতে” সহায়তা করবে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এএফপি, রয়টার্স এবং এপি থেকে নেয়া হয়েছে।