অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনের সামরিক অনুপ্রবেশের মোকাবেলায় তাইওয়ানের ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া


ওয়াইলানে তাইওয়ান-নির্মিত যুদ্ধজাহাজ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। ফটোঃ ২৬ মার্চ, ২০২৪।
ওয়াইলানে তাইওয়ান-নির্মিত যুদ্ধজাহাজ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। ফটোঃ ২৬ মার্চ, ২০২৪।

তাইওয়ান মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ‘প্যাট্রিয়ট’ ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান-বিধ্বংসী কামান মোতায়েনের মাধ্যমে বিমান প্রতিরক্ষা মহড়া চালিয়ে বলেছে, স্ব-শাসিত এই দ্বীপের চারধারে চীনের সামরিক “অনুপ্রবেশের”র মোকাবেলায় তারা প্রশিক্ষণ আরও বৃদ্ধি করবে।

বেইজিং তাইওয়ানকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে এবং বলেছে, এই দ্বীপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে বলপ্রয়োগের সম্ভাবনা তারা নাকচ করে দেবে না।

এই দ্বীপের চারধারে প্রায় প্রতিদিনই চীন তাদের যুদ্ধবিমান ও জাহাজের উপস্থিতি বজায় রেখে তাইপে’র উপর সামরিক চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই কৌশলকে বিশেষজ্ঞরা ‘গ্রে জোন’ কর্মসূচি বলে বর্ণনা করেন - যে কৌশল পুরোপুরি যুদ্ধ পর্যন্ত গড়ায় না।

তাইওয়ানের বিমান বাহিনীর কম্যান্ড বলেছেন, তারা সকাল ৫টা ও ৭টার (২১.০০-২৩.০০ জিএমটি সোমবার) মধ্যে মহড়া চালিয়েছে। এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল এই দ্বীপের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি স্কাই বো ও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র এবং সেনা ও নৌবাহিনীর একাধিক দল।

এই মহড়া মসৃণভাবে সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সামরিক বাহিনীর তিনটি শাখার মধ্যে যৌথ বিমান প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের কম্যান্ড ও নিয়ন্ত্রণ যাচাই করাই ছিল উদ্দেশ্য।”

তিনি আরও বলেন, “তাইওয়ানের সংলগ্ন আকাশ ও জলসীমায় পিএলএ-র বিমান ও জাহাজের বারবার অনুপ্রবেশের আবহে বিমান বাহিনী সম্ভাব্য হুমকির পাল্টা জবাব দিতে প্রশিক্ষণের তীব্রতা ও মাত্রা বাড়িয়ে যাবে।”

চীনের দাবী নাকচ

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন এই দ্বীপের উপর চীনের দাবিকে নাকচ করেছেন। এর ফলে ২০১৬ সালে তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেইজিং-এর সঙ্গে সমস্ত উচ্চ-পর্যায়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

আট বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়িয়েছেন, সামরিক অস্ত্র অর্জন করেছেন এবং সাবমেরিন ও জাহাজের মতো তাইওয়ান-নির্মিত সরঞ্জামের উন্নতি ঘটিয়েছেন।

সাই এক ভাষণে বলেছেন, “গত কয়েক বছর ধরে আমরা দৃঢ়ভাবে একটি স্বতন্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি।”

তাইপেইয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, চীনের ১৩টি বিমান ও সাতটি জাহাজ (মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) ২৪ ঘন্টায় তাইওয়ানের আশেপাশে দেখা গেছে।

গত সপ্তাহে, তাইওয়ান ২৪ ঘন্টায় দ্বীপের চারধারে চীনের ৩৬টি বিমান চিহ্নিত করেছিল। চলতি বছরে একদিনে এটাই সর্বোচ্চ।

XS
SM
MD
LG