ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়া সোমবার কিয়েভে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা করেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, তারা দুটি ক্ষেপণাস্ত্রই ধ্বংস করেছে। একই সময়ে, মাইকোলাইভ ও ওডেসায় রাতভর হামলায় ব্যবহৃত নয়টি আক্রমণকারী ড্রোনের মধ্যে আটটি ধ্বংস করেছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো বলেন, ধ্বংস হয়ে যাওয়া ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি অনাবাসিক ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে এবং আশেপাশের আবাসিক ভবনের জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিংক জানিয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানীতে বিকট বিস্ফোরণ হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্রিংক লিখেছেন, “গত পাঁচ দিনে রাশিয়া একটি সার্বভৌম দেশের ওপর শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনের এখন আমাদের সহায়তা প্রয়োজন। নষ্ট করার মতো এক মুহূর্তও সময় নেই।”
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা সেনা সহায়তার জন্য দেশটির সর্বসাম্প্রতিক আবেদনে বলেন, “এমন কোনো নৃশংসতা নেই যা রাশিয়ান জারজরা করবে না।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি রবিবার রাতের ভিডিও ভাষণে বলেন, ইউক্রেন বারবার রাশিয়ার বিমান হামলার শিকার হওয়ায় দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ‘উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী’ করা দরকার।
তিনি বলেন, “গত সপ্তাহে সোমবার থেকে আজ পর্যন্ত রাশিয়ান সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধরনের প্রায় ১৯০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রায় ১৪০টি ‘শাহেদ’ ড্রোন ব্যবহার করেছে। এছাড়া তারা প্রায় ৭০০ গাইডেড বিমান বোমা নিক্ষেপ করেছে। এ যুদ্ধ চলা দুই বছরের বেশি সময়ে এমন একটি সপ্তাহও যায়নি যখন রাশিয়া সন্ত্রাস থেকে বিরত ছিল।”
সোমবার রাশিয়া বলেছে, তারা রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রোস্তভ এলাকায় ইউক্রেনের একটি ড্রোন হামলা ব্যর্থ করে দিয়েছে। এই অঞ্চলের একটি বিদ্যুতকেন্দ্রে আগুন লাগার ফলে পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।
প্ল্যান্টের অপারেটর ওজিকে-২ দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে রিপোর্ট করেছে এবং বলেছে, প্ল্যান্টের সরঞ্জামগুলোর ক্ষয়ক্ষতি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে