শনিবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মিশর-গাজা সীমান্ত সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন না থাকা সত্ত্বেও ইসরাইল হামাসের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য নিকটবর্তী শহর রাফায় সেনা পাঠানোর অঙ্গীকার করে।
এই সফরের সময়ে গুতেরেস মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করার পরিকল্পনা করছেন। তবে নতুন করে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ অব্যাহত থাকলেও ইসরাইল রাফায় স্থল হামলা চালানোর পরিকল্পনা থেকে এখন পর্যন্ত সরে আসেনি। এ শহরে গাজার বেশিরভাগ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
এই অভিযানে বড় আকারে বেসামরিক মানুষ হতাহত হতে পারে এবং এতে এই ভূখণ্ডে মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার সতর্কতা সত্ত্বেও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন তিনি সেখানে হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাবেন।
ইসরাইল সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে নেতানিয়াহু বলেন, “আমি এটা (রাফায় হামলা) যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নিয়েই করতে চাই, কিন্তু যদি প্রয়োজন পড়ে আমরা একাই এটা করব।”
গুতেরেস শনিবার রাফার মিশরীয় অংশের ত্রাণকর্মীদের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেছেন। সীমান্তের অপর প্রান্তে, গাজার অংশে ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।
এই শহরকে ঘিরে বিবাদে জড়িয়েছে ইসরাইল ও ওয়াশিংটন।
নেতানিয়াহু শুক্রবার বলেন, “রাফায় প্রবেশ করা ছাড়া হামাসকে ও সেখানে থেকে যাওয়া যোদ্ধাদের পরাজিত করার কোনো পথ নেই।”
তবে ব্লিংকেন বলেন, রাফায় হামলা চালানো সেই “লক্ষ্য অর্জনের উপায় নয়।”
নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিবিদ তার এক্স প্রোফাইলে লেখেন “ইসরাইল ও আমাদের লক্ষ্য অভিন্ন: হামাসের পরাজয়। আগামী সপ্তাহে আমি আবারও ওয়াশিংটনে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই লক্ষ্য অর্জনের ভিন্ন উপায় সম্পর্কে আলোচনায় বসব।”
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার প্রধান ভলকার তুর্ক এ সপ্তাহের শুরুতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে “মানুষকে অনাহারে রাখাকে যুদ্ধ কৌশল” হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ আনেন।
ইসরাইল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।