যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ইউক্রেনকে প্রয়োজনীয় সম্পদ সরবরাহ করতে যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস এখনো ইউক্রেনের জন্য নতুন তহবিল অনুমোদন করেনি।
ডিসেম্বরের শেষের দিকে প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য অস্ত্রোপচারের জটিলতার কারণে ১ জানুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর অস্টিনের এটি প্রথম আন্তর্জাতিক সফর।ইউক্রেন ডিফেন্স কন্ট্যাক্ট গ্রুপ (ইউডিসিজি) ইউক্রেন সম্পর্কে তাদের প্রচেষ্টা সমন্বয় করার জন্য ৫০টির বেশি দেশের কর্মকর্তাদের একত্রিত করে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে নিরাপত্তা সহায়তার জন্য প্রায় ৪ হাজার ৪শ ডলার প্রদান করেছে। মিত্র ও অংশীদাররাও এই সময়ের মধ্যে ৪ হাজার ৪শ ডলারের বেশি প্রদান করেছে।
ইউক্রেনের জন্য কেবল যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর তহবিলই শেষ হয়ে যায়নি, প্রতিরক্ষা বিভাগের ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেয়ার প্রচেষ্টা থেকে তহবিলের ঘাটতি রয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন কংগ্রেসের অতিরিক্ত অর্থায়ন ছাড়া অর্থবছরের শেষে এই ঘাটতি কমপক্ষে ১২ শ কোটি ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে । এর আগে পেন্টাগন স্বীকার করেছিল, ইউক্রেনে ইতোমধ্যে পাঠানো অস্ত্রের পরিবর্তে প্রয়োজনীয় যুক্তরাষ্ট্রের আরও অস্ত্রের জন্য প্রায় ১ হাজার কোটি ডলারের ঘাটতি রয়েছে।
ইউরোপ এবং আফ্রিকা মহাদেশজুড়ে সেনাবাহিনীর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর কর্নেল মার্টিন ও’ডনেল ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, অস্ত্র পুনঃপূরণের জন্য ১ হাজার ডলারের ঘাটতি ছাড়াও ইউরোপ এবং আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী বর্তমানে তাদের বাজেটের চেয়ে প্রায় ৫০ কোটি ডলার বেশি ব্যয় করেছে। কারণ তারা ইউক্রেনীয়দের এবং অন্যান্য ইউক্রেনীয় মিশনের প্রয়োজনীয়তার জন্য অর্থ প্রদান অব্যাহত রেখেছে।
কংগ্রেসের সম্পূরক তহবিল ছাড়া অর্থবছর শেষে এই ঘাটতি কমপক্ষে ২০০ কোটি ডলারে উন্নীত হবে।