অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানের মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে তিরস্কারের আহ্বান নোবেল বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মদির


ফাইল ছবি—ইরানের মানবাধিকার কর্মী নার্গিস মোহাম্মদিকে তেহরানের ডিফেন্ডারস অফ হিউম্যান রাইটস সেন্টারে দেখা যাচ্ছে (২৫ জুন, ২০০৭)
ফাইল ছবি—ইরানের মানবাধিকার কর্মী নার্গিস মোহাম্মদিকে তেহরানের ডিফেন্ডারস অফ হিউম্যান রাইটস সেন্টারে দেখা যাচ্ছে (২৫ জুন, ২০০৭)

কারাবন্দী ইরানী নোবেল বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মদি সোমবার সারা বিশ্বকে ইরানের “নিন্দনীয়” মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করার আহ্বান জানান।

মোহাম্মদি (৫১) ২০২৩ সালে ইরানে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য নোবেল পুরস্কার পান। এই আন্দোলনের কারণে গত দুই দশকের বেশিরভাগ সময় তিনি কারাগারে আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন।

ইরানের বিষয়ে আয়োজিত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কাউন্সিলের অধিবেশনে মোহাম্মদির পক্ষ থেকে একটি বার্তা পড়ে শোনানো হয়। এই বার্তায় তিনি বলেন, “ইরানের মানুষ নিয়মতান্ত্রিক, বড় আকারে বিস্তৃত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে বাড়তে থাকা বিক্ষোভ ও নারী, জীবন, স্বাধীনতা আন্দোলনের মধ্যে দমন-পীড়ন অনেক বেড়ে গেছে। আর শুধু রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীরাই নন, নারী, সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদেরকেও লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে।”

“জাতিসংঘ ও সারা বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উচিত ইরানের প্রতি নিয়মতান্ত্রিক ও পূর্ণাঙ্গ মাত্রার চাপ দেওয়া এবং দেশটিতে নিন্দনীয় পর্যায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা”।

মোহাম্মদিকে তেহরানের এভিন কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান টুগেদার এগেইন্সট দ্য ডেথ পেনাল্টি তার পক্ষ থেকে এই বার্তাটি পড়ে শোনায়।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পুলিশী হেফাজতে ২২ বছর বয়সী ইরানী-কুর্দি নারী মাহসা আমিনীর মৃত্যুর ঘটনায় সমগ্র ইরান জুড়ে বড় আকারে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ইসলামিক শরিয়া আইন ভিত্তিক কঠোর পোশাক পরার নিয়ম লঙ্ঘনের অপরাধে মাহসাকে আটক করা হয়েছিল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মিশেল টেইলর বলেন, ইরান মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিত্ব ও রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের “ভয়ভীতি প্রদর্শন, নাজেহাল ও কারাবন্দী” করা অব্যাহত রেখেছে।

এই অধিবেশন চলার সময় ৫০ জন মানুষ জাতিসংঘ ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারা ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।

XS
SM
MD
LG