সোমবার জাতিসংঘ সমর্থিত একটি খাদ্য নিরাপত্তা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন থেকে শুরু করে মে মাসের মধ্যে যে কোনো সময় উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে এবং এ মুহূর্তে গাজার বাকি জনগোষ্ঠীও তীব্র খাদ্য সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) প্রতিবেদন প্রকাশের পর জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সাংবাদিকদের বলেন, “এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার অর্ধেকেরও বেশি ফিলিস্তিনির - ১১ লাখ মানুষের - খাদ্য মজুত পুরোপুরি শেষ হয়েছে এবং তারা এখন বিপর্যয়কর ক্ষুধার মুখোমুখি।”
“এটাই সমন্বিত খাদ্য নিরাপত্তা শ্রেণীকরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে নথিভুক্ত করা সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের এ ধরনের বিপর্যয়কর ক্ষুধার মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা—যেকোনো সময় ও অবস্থান বিচারে”, বলেন গুতেরেস।
জাতিসংঘ সমর্থিত আইপিসি প্রতিবেদন বলছে, আগামী সপ্তাহগুলোতে যেকোনো সময় দুর্ভিক্ষ আঘাত হানতে পারে এবং উত্তর গাজার আনুমানিক দুই লাখ ১০ হাজার মানুষ সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে।
যুদ্ধ থেকে বাঁচতে দক্ষিণের প্রশাসনিক এলাকা দেইর আল-বালাহ, খান ইউনিস ও রাফায় প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই জনগোষ্ঠী দুর্ভিক্ষ থেকে এক ধাপ পেছনে আছে।
আইপিসি প্রতিবেদন বলছে, “সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে এই প্রশাসনিক অঞ্চলগুলোতে ২০২৪ এর জুলাই থেকে দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।”
জাতিসংঘ ও জাতিসংঘের অংশ নয় এমন ১৮টি ভিন্ন ভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত আইপিসি ডিসেম্বরে সতর্কতা জারি করে বলেছিল, যুদ্ধ তাৎক্ষনিকভাবে বন্ধ না হলে এবং মানবিক ত্রাণের প্রবাহ নিরবচ্ছিন্ন না রাখা গেলে মে মাসের শেষ নাগাদ দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।
জাতিসংঘ প্রধান গুতেরেস ও বেশ কয়েকটি মানবিক সংস্থা সোমবার আবারও মানবিক যুদ্ধবিরতি চালু করার ও আরও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ও টেকসই আকারে গাজায় ত্রাণের প্রবাহ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী বলছে, তারা উত্তরে গাজা সিটিতে রবিবার দিনের শেষে একটি নতুন করে চালু হওয়া সড়ক করিডরের মাধ্যমে ১৮টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করিয়েছে, কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় এটি খুবই কম।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।