রাশিয়ার অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার বলেছেন, চলতি বছরের প্যারিস অলিম্পিক তারা বয়কট করবেন না। ইউক্রেনে আক্রমণের শাস্তি হিসেবে রাশিয়ার ক্রীড়াবিদদের উপর আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো সত্ত্বেও তারা বয়কটের পথে হাঁটছে না।
আরওসি-র প্রধান স্তানিস্লাভ পোজনিয়াকভ (সাবেক অলিম্পিক ফেন্সার) আরআইএ সংবাদ সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত একাধিক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা কখনও (অলিম্পিক) বয়কটের পথে হাঁটব না। আমরা সব সময় আমাদের ক্রীড়াবিদদের সমর্থন করবো।”
তিনি আরও বলেন, “তবে আমরা জোর দিয়ে বলছি, আইওসি যে শর্তগুলি চাপিয়েছে তা অবৈধ, অন্যায্য ও গ্রহণযোগ্য নয়।”
চলতি বছরের ২৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে প্যারিস অলিম্পিক। রাশিয়া ও বেলারুশের যে ক্রীড়াবিদরা কোয়ালিফাই করবেন, তাদের এই অলিম্পিকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেবে আইওসি, তবে স্বতন্ত্র খেলোয়াড় হিসেবে তাদের অংশ নিতে হবে; তাদের দেশের পতাকা, প্রতীক বা জাতীয় সঙ্গীত থাকবে না।
স্বতন্ত্র ক্রীড়াবিদরা কেবলমাত্র একক-ব্যক্তির খেলাগুলিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন এবং এই দুই দেশের কোনও দলকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে না। ইউক্রেনের যুদ্ধকে সক্রিয় ও প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন করেন এমন ক্রীড়াবিদরা অলিম্পিকে অংশগ্রহণের যোগ্য নন। পাশাপাশি, রুশ বা বেলারুশের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত বা চুক্তিবদ্ধ এমন অ্যাথলিটরাও যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
রাশিয়া এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র প্রতিবাদ করেছে।
প্যারিসের মেয়র অ্যানি হিদালগো বুধবার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি চাইবেন যে, রুশ ও বেলারুশীরা যেন “না আসেন।”
তিনি বলেন, “আমরা এমন কিছু করতে পারি না যাতে মনে হয়, (ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসনের) অস্তিত্ব নেই।”
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণের শুরুতে রুশ ও বেলারুশীদের প্রথম দিকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শীতল যুদ্ধের সময় আফগানিস্তানে সোভিয়েত আক্রমণের প্রতিবাদে ১৯৮০ সালের মস্কো অলিম্পিক বয়কট করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর পাল্টা জবাবে ১৯৮৪ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক বয়কট করেছিল রাশিয়া ও তাদের মিত্র দেশগুলি।