অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পুতিনঃ রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়লে 'মস্কো পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহারে প্রস্তুত'


রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। ফটোঃ ১২ মার্চ, ২০২৪।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। ফটোঃ ১২ মার্চ, ২০২৪।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার বলেন যে, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা যদি হুমকির মুখে পড়ে, তাহলে মস্কো পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে আবার হুঁশিয়ার করে দেন যে, তারা ইউক্রেনে সৈন্য পাঠালে সেটাকে সহিংসতা বৃদ্ধির একটি নতুন মাত্রা হিসেবে গণ্য করা হবে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার দুই-বছর ব্যাপী যুদ্ধে পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহারের কোন প্রয়োজন হয় নি, এবং তিনি মনে করেন না যে বিশ্ব একটি পারমানবিক যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে একজন অভিজ্ঞ রাজনিতিক হিসেবে বর্ণনা করেন, যিনি পারমানবিক যুদ্ধের বিপদ সম্পর্কে সজাগ।

তবে পুতিনের বক্তব্য মনে হল তাঁর আগের কথার পুনরাবৃত্তি, যেখানে তিনি ইউক্রেনে দখল করা এলাকা ধরে রাখতে তাঁর ইচ্ছা পশ্চিমা বিশ্বকে জানাচ্ছেন। একই সাথে তিনি আবারও বার্তা দিচ্ছেন যে যদি “রুশ রাষ্ট্রর অস্তিত্ব, আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়ে ,” তাহলে তিনি পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত।

“এসবই আমাদের সামরিক কৌশলে লেখা আছে, আমরা কিছু বদলাই নি,” তিনি বলেন।

নেটো জোটের যেসব মিত্র দেশ কিয়েভকে সমর্থন করে, তাদের প্রতি ইঙ্গিত করে পুতিন ঘোষণা দেন যে, “যেসব দেশ বলছে রাশিয়ার ব্যাপারে তাদের কোন লাল দাগ বা বাধার সীমানা নেই, তাদের বোঝা উচিত যে তাদের বেলায়ও রাশিয়ার কোন লাল দাগ নেই।”

ইউক্রেনের সুমিতে রাশিয়ার ড্রোন আক্রমণে বিধ্বস্ত ভবন। ফটোঃ ১৩ মার্চ, ২০২৪।
ইউক্রেনের সুমিতে রাশিয়ার ড্রোন আক্রমণে বিধ্বস্ত ভবন। ফটোঃ ১৩ মার্চ, ২০২৪।

তবে তিনি এটাও বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে “অনেক বিশেষজ্ঞ আছেন যারা রুশ-আমেরিকান সম্পর্ক এবং কৌশলগত সীমাবদ্ধতার বিষয়ে পারদর্শী। কাজেই, আমি মনে করি না যে এখানে সব কিছু পারমানবিক সংঘাতের দিকে ধাবিত হচ্ছে, তবে আমরা তার জন্য প্রস্তুত।”

যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র এড্রিয়েন ওয়াটসন বলেন, “পুরো সংঘাতের সময় পারমানবিক বিষয়ে রাশিয়ার কথাবার্তা বেশ বেপরোয়া এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়েছে। রাশিয়াই কোন কারণ বা উস্কানি ছাড়া নির্মম ভাবে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়েছে। ইউক্রেন যাতে তাদের জনগণ এবং সার্বভৌম জমি রক্ষা করতে পারে, সেজন্য আমরা তাদের সমর্থন করে যাব।”

একজন সিনিয়র ওয়াইট হাউস কর্মকর্তা বলেন, “আমার যা বুঝেছি, মিঃ পুতিন রাশিয়ার পারমানবিক দর্শন পুনরায় ব্যক্ত করছিলেন, যে সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পরলে তারা পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে। এটা তাদের নতুন অবস্থান না।

"আমরা এমন কিছু দেখছি না, যাতে আমাদের পারমানবিক অবস্থান বদলাতে হবে। আমরা এমন কিছুও দেখছি না যে, যাতে মনে হতে পারে রাশিয়া ইউক্রেনে পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বার বার বলেছেন ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর কোন ইচ্ছা যুক্তরাষ্ট্রের নেই। তবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সম্প্রতি ইউক্রেনের যুদ্ধে পশ্চিমা সৈন্য পাঠানোর সম্ভাবনাকে নাকচ করতে অস্বীকার করেন।

XS
SM
MD
LG