কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ সপ্তাহে বৈরুত সফররত যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ ট্রেজারি কর্মকর্তা লেবানন কর্তৃপক্ষকে তাদের দেশের মধ্য দিয়ে হামাসের কাছে তহবিলের প্রবাহ ঠেকানোর জন্য চাপ দিয়েছেন।
এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ট্রেজারি উপ-সহকারী সচিব জেসি বেকার লেবাননের রাজনীতিবিদ ও আর্থিক খাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দেখা করেন।
এমন সময় তিনি সফরে এলেন, যখন ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে। মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাস সম্ভবত রবিবার রাত থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। এ মাসেও যদি যুদ্ধ অব্যাহত থাকে, তাহলে অনেকেই আশংকা করছেন এটি লেবাননসহ এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রায় পাঁচ মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই হামাসের মিত্র ও লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হেজবুল্লাহ এবং ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে ছোটখাটো সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য নাম না প্রকাশের শর্তে ট্রেজারি কর্মকর্তা জানান, বেকার লেবানন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে “লেবাননের মধ্য দিয়ে হামাসের তহবিল প্রবাহ, ইরান থেকে লেবানন এবং সেখান থেকে অন্যান্য অঞ্চলে হেজবুল্লাহর তহবিলের প্রবাহ” নিয়ে “সুনির্দিষ্ট উদ্বেগ” প্রকাশ করেছেন এবং এর প্রতিরোধে “আগে থেকেই উদ্যোগ” নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কর্মকর্তাটি জানান, এই সংগঠনগুলোর যোদ্ধাদের পারিশ্রমিক দিতে ও সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে এই অর্থায়নের প্রবাহ প্রয়োজন এবং এটা বন্ধ হয়ে গেলে তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না।
ট্রেজারি কর্মকর্তা আরও জানান, বেকার লেবাননের সুবিশাল অবৈধ আর্থিক খাতের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে চাপ দেন। প্রায় চার বছর ধরে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মাঝে দেশটির আনুষ্ঠানিক আর্থিক খাত ধ্বসে পড়াতে অবৈধ মুদ্রা বিনিময় ও অনিবন্ধিত অর্থ স্থানান্তর পরিষেবা প্রতিষ্ঠানের দৌরাত্ম দেখা দিয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, লেবাননের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪৬ শতাংশই আসে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও নগদ অর্থনির্ভর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে। হামাস ও হেজবুল্লাহ এসব সেবার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে আর্থিক লেনদেনের ওপর আরোপ করা বিধিনিষেধ এড়াতে পারে। উভয় সংগঠনকে ওয়াশিংটন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।
লেবাননে হামাসের মুখপাত্র ওয়ালিদ কিলানি জানান, তার কাছে এ বিষয়ে “কোনো তথ্য” নেই।