যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেন , ত্রাণ সরবরাহের জন্য গাজা ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী একটি অস্থায়ী ঘাঁটি স্থাপন করবে। গাজায় মানবিক সংকট মোকাবিলায় ইসরাইলকে আরও বেশি কিছু করার আহ্বান জানান বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজায় মানবিক সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি গাজা উপকূলে ভূমধ্যসাগরে একটি অস্থায়ী জেটি স্থাপনের জন্য জরুরি একটি মিশনের নেতৃত্ব দিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিচ্ছেন। ওই জেটিতে খাদ্য, পানি শোধনকারী ওষুধ এবং অস্থায়ী আশ্রয় বহনকারী বড় জাহাজ নোঙর করা যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সৈন্য গাজার মাটিতে নামবে না। এই অস্থায়ী জেটি প্রতিদিন গাজায় মানবিক সহায়তার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে।
ইসরাইলের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ধরনের পদক্ষেপ নেবে। ইসরাইলি কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে সন্তুষ্ট যে, বিদ্যমান সংকট ১,২০০ মানুষের গণহত্যার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। হলোকাস্টের পর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ দিন ছিল।
তবে গাজা ইস্যুতে ইসরাইলকে অবশ্যই তার নীতি পরিবর্তন করতে হবে বলে প্রেসিডেন্টের যে দৃঢ়তা তাতে ইসরাইলিরা খুব বেশি খুশি হতে পারেনি।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরাইলকেও তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। ইসরাইলকে অবশ্যই গাজায় আরও ত্রাণের অনুমতি দিতে হবে এবং ত্রাণ কর্মীরা যাতে ক্রসফায়ারের মধ্যে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে। বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, মানবিক সহায়তা গৌণ বিবেচনা বা দর কষাকষির মাধ্যম হতে পারে না। নিরাপরাধ জীবন রক্ষা ও সংরক্ষণকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি বলেন, এর একমাত্র বাস্তব সমাধান হচ্ছে দুই রাষ্ট্র সমাধান।
ইসরাইল দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এমনটা হলে ইসরাইলের নিরাপত্তার সাথে আপোস করা হবে। ইসরাইল বলেছে, গাজার নিরাপত্তার জন্য তাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ভাষণের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এমনকী মিশরের সীমান্তবর্তী শহর রাফায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেন। যুদ্ধ থেকে বাঁচতে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নিয়েছে।