বৃহস্পতিবার সুইডেন ওয়াশিংটনে আনুষ্ঠানিকভাবে নেটোতে যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। দুই বছর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর সুইডেন তাদের জাতীয় সুরক্ষা নীতি নিয়ে নতুন করে ভাবে এবং নেটো জোট প্রদত্ত সুরক্ষার সর্বোত্তম গ্যারান্টি উপলব্ধি করে।
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন চূড়ান্ত নথি হস্তান্তরের জন্য ওয়াশিংটনে রয়েছেন। হোয়াইট হাউস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণের আগে এক বিবৃতিতে বলেছে, বৃহস্পতিবার সুইডেন নেটোতে যোগ দেবে।
সুইডিশ সরকার আলাদাভাবে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নেটোতে যোগদানের বিষয়ে দেশটি আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেবে।
নেটোর জন্য সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের অন্তর্ভুক্তি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রসারণ। সুইডেন, ফিনল্যান্ড এবং রাশিয়ার মধ্যে ১,৩৪০ কিলোমিটার অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে। এটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্যও একটি আঘাত। তিনি জোটকে আরও শক্তিশালী করা থেকে বিরত রাখতে চেয়েছেন।
সুইডেন নেটোর সাধারণ প্রতিরক্ষা গ্যারান্টি থেকে উপকৃত হবে। এর অধীনে একজন একজন সদস্যের ওপর আক্রমণ সবার ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
সুইডেন নেটো বাহিনীতে অত্যাধুনিক সাবমেরিন এবং স্থানীয়ভাবে নির্মিত ফাইটার জেটগুলোর একটি বড় বহর যুক্ত করেছে। সুইডেন আটলান্টিক এবং বাল্টিকের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ লিংক হবে।
সুইডেনের এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া অনির্দিষ্ট ‘রাজনৈতিক ও সামরিক-প্রযুক্তিগত পাল্টা ব্যবস্থা’ নেয়ার হুমকি দিয়েছে।
যদিও স্টকহোম গত দুই দশক ধরে নেটোর আরও কাছাকাছি আসছে। গত ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে সুইডেন সামরিক জোট এড়িয়ে চলেছে এবং যুদ্ধের সময় একটি নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সুইডেন মানবাধিকারের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরের সরকারগুলো সামরিক ব্যয় কমিয়ে দেয়।